পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা *-3守 Råd “কি আশ্চৰ্য্য ! কি আশ্চৰ্য্য ! অক্ষরে অক্ষরে মিল! আমি ত এ কথা কাউকে জানাই নি ?” বলিয়া বন্ধু ও পত্নীর রোগ-সম্বন্ধে অলৌকিক স্বপ্নাবির্ভাবে উৎফুল্প হইয়া তাহার আগমন কাহিনী ফুলাইয়া ফলাইয়া আমাকে পাণটা দিলেন । এতক্ষণে বাড়ীর সকলে সেই ঘরে আসিয়া জমিয়াছেন । সকলেই চমকিত, বিস্মিত, স্তম্ভিত । “সাধে বলে প্ৰভাতের স্বপ্ন ।” “সেকেলে বচন,-মাহাত্ম্য যাবে কোথায় ?” “তবু লোকে পাঁজি পুথি মানতে চায় না ?” ইত্যাকার মন্তব্যে ঘর ধ্বনিত হইতে লাগিল। আমার ও সেই সময় হইতে মতিগতি ফিরিবার উপক্রম হইয়াছিল। যদি না ফরাসীদার্শনিক Bergson এর গ্ৰন্থপাঠে এই সকল বৈজ্ঞানিক-তত্ত্ব মনে উদয় হইয়া আমাকে রক্ষা করিত, তাহা হইলে আমি সম্ভবত তদবধি পঞ্জিকাগতি-প্ৰাণ হইয়া থাকিতাম । স্বপ্ন-তত্ত্বের আলোচনার সূত্রপাতের অধিক কিছু করিবার আমার অধিকার নাই সুতরাং এ আলোচনা চালাইবার ভার অপরের উপর দিয়া বিদায় গ্ৰহণ করিতে বাধ্য হুইলাম। যদি স্বপ্নসম্বন্ধে কাহারে কৌতুহল জাগাইয়া থাকি, তবে তঁহাকে স্বপ্নসাধনের একটা হিকমৎ বাংলাইয়া দিই। বঁাশ-বাজিকর যদি পায়ে সিং বাধিয়া দড়ির উপর চলিতে পারে, বা বাঁশের আগায় মানুষ চড়াইয়া সেটা চিবুকের উপর সোজা ভাবে দাড় করাইয়া রাখিতে পারে, তবে শিক্ষিত ব্যক্তি অভ্যাস করিলে চিত্তকে ভোর বেলায় সেই নিদ্রা ও জাগরণের