পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৫৬

R89 সবুজ পত্ৰ । শ্রাবণ, ১৩২৩ সকলে কথা কইতে পারলেও যে গান গাইতে পারে না, হঁটিতে পারলেও যে নাচতে পারে না, এ কথা সকলেই জানেন এবং সকলেই মানেন; কিন্তু অনেকে লিখতে পারলেও যে “লিখতে” পারে নাএ জ্ঞান আমরা হারিয়ে বসে আছি । “হারিয়ে বসে আছি” বলবার কারণ এই যে, সঙ্গীতের মত লেখা জিনিষটিও যে একটি আর্ট-এ জ্ঞান আমাদের পূর্বপুরুষদের ছিল। সকল আলিঙ্কারিক একবাক্যে বলে গেছেন যে, কাব্য রচনা করার জন্য দুটি জিনিষ চাই-প্রথমতঃ প্রাক্তন সংস্কার, দ্বিতীয়তঃ শিক্ষণ । এ কালের অনেক লেখকের বিশ্বাস যে, সাহিত্যিক হবার জন্য একমাত্ৰ প্ৰাক্তন সংস্কারই যথেষ্ট, শিক্ষা দীক্ষার কোনরূপ আবশ্যক নেই; কেননা তঁদের লেখা পড়ে বোঝা যায় না, তারা ভঁাদের নৈসর্গিকী প্ৰতিভা ব্যতীত অপর কিসের উপর নির্ভর করেন । মহর্ষি চরকের শিষ্য অগ্নিবেশ বলেছেন যে, যে-সকল চিকিৎসকের গুরুর নাম কেউ জানে না, র্যাদের কোন ও সতীর্থ নেই, তঁরা “দ্বিজিহব বায়ুভক্ষকাঃ”। এই শ্রেণীর সাহিত্য-চিকিৎসকের দল যে ক্ৰমে বৃদ্ধিপ্ৰাপ্ত হচ্ছে, সে বিষয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই- এবং মাসিকপত্ৰসকল এই শ্রেণীর সাহিত্যিকদের প্রশ্রয় দিতে বাধ্য । বাঙ্গলাদেশে, আজকাল যদিও বা লেখক থাকে তা লেখবার বিষয় বড় একটা নেই। লেখবার সামগ্রীর যে বিশেষ অনটন ঘটেছে তার eKKDS DBDDDD D BE uSTSDD BB BDS DS SKY0