পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, চতুৰ্থ সংখ্যা G3 ve BfG 88ፃ Dg DDBS g DBD DD KDB DBBD KLBD BBDS SDD সহুরে, কি পাড়া গেয়ে, এমন মাসিকপত্র নেই, যা এই পণ্ডিতের বিচারে যোগদান করে নি । এ সকল তর্কবিতর্কের যে কোনও সার্থকতা নেই-এ কথা আমার মুখে শোভা পায় না। তবে এই সব আলঙ্কারিক-তত্ত্ব নিয়ে এতটা দেশজোড়া আন্দোলন হওয়াটাই আক্ষেপের বিষয় । কেননা, এ সব সমস্যার বিচার করতে হলে, প্রথমতঃ-সে বিচার করলার শিক্ষা এবং শক্তি থাকা আদৃশ্যক। দ্বিতীয়তঃ, যুক্তিযুক্ত তর্ক করার অভ্যাস থাকা আবশ্যক। কিন্তু ঘটনা হয়েছে। অন্যরূপ। নিত্যই দেখতে পাই যে, যারা দু ছত্ৰ সোজা করে লিখতে পারেন না, তঁরাষ্ট্র রচনারীতি নিয়ে মস্ত মস্ত আঁকা বঁকা প্ৰবন্ধ লেখেন। তারপর দেখতে পাই, এই সব লেখকদের ধৈৰ্য্যর অপেক্ষা বীৰ্য ঢের বেশী। এরা যুক্তি তর্কের ধার ধীরেন না,— উপদেশ দেন, আদেশ করেন। সম্ভবতঃ এদের বিশ্বাস যে, রাগের মাথায় যে কথা বলা যায়, তা সত্য হতে বাধ্য। এরা ভুলে যান। যে, ক্রোধান্ধ হ'লে মানুষের দিগৃবিদিক জ্ঞান থাকে না। ফলে, এরা সাহিত্যের যে-সব ইটপাটকেল কুড়িয়ে পান, তা মাতৃভাষার উপর নিক্ষেপ করতে সুরু করেছেন। আমার সুমুখে তিন খানি মাসিকপত্র খোলা রয়েছে- তার একখানিতে মাতৃভাষাকে "কিষ্কিন্ধ্যার ভাষা ( সাহিত্য-সংহিতা ), আর একখানিতে “পোত্বিভাষা”