পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপান-যাত্রীর পত্ৰ । সেই খিদিরপুরের ঘাট থেকে আরম্ভ করে আর এই হংকং-এর ঘাট পৰ্য্যন্ত, বন্দরে বন্দরে বাণিজ্যের চেহারা দেখে আসচি ! সে যে কি প্ৰকাণ্ড, এমন করে তাকে চোখে না দেখলে বোঝা যায় না-শুধু প্ৰকাণ্ড নয়, সে একটা জবড়জঙ্গ ব্যাপার। কবিকঙ্কণ চণ্ডীতে ব্যাধের আহারের যে বৰ্ণনা আছে,-সে। এক-এক গ্ৰাসে এক-এক তাল গিলাচে, তার ভোজন উৎকট, তার শব্দ উৎকট,-এও সেই রকম। এই বাণিজ্যব্যাধটাও হাস্ফাস করতে করতে এক-এক পিণ্ড মুখে যা পুৱাচে, সে দেখে ভয় হয়,-তার বিরাম নেই, আর তার শব্দই বা কি ! লোহার হাত দিয়ে মুখে তুলচে, লোহার দাঁত দিয়ে চিবচ্চে, লোহার পাকযন্ত্রে চিরপ্ৰদীপ্ত জঠরানলে হজম করচে, এবং লোহার শিরা উপশিরার ভিতর দিয়ে তার জগৎজোড়া কলেবারের সর্বত্র সোণার রক্তস্রে চালান করে দিচে । 雌 একে দেখে মনে হয় যে এ একটা জন্তু, এ যেন পৃথিবীর প্রথম যুগের দানব-জন্তুগুলোর মত। কেবলমাত্র তার ল্যাজের আয়তন দেখলেই শরীর আঁৎকে ওঠে । তারপরে সে জলচর হবে, কি স্থলচর হবে, কি পাখী হবে, এখনো তা স্পষ্ট ঠিক হয় নি,-সে। খানিকটা সরীস্থপের মত, খানিকটা বাদুড়ের মত, খানিকটা গণ্ডারের মত। No.