পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Reb. সবুজ পত্র VSțT, SORO এখানেই পথনির্ণয়ের সমস্ত যন্ত্র। এখানে যাত্রীদের যাওয়া নিষেধ। মুকুল যখন গেল, তখন তৃতীয় অফিসার কাজে নিযুক্ত। মুকুল তঁকে প্রশ্ন করতেই, তিনি ওকে বোঝাতে সুরু করলেন। সমুদ্রের মধ্যে অনেকগুলি স্রোতের ধারা বইচে, তাদের উত্তাপের পরিমাণ স্বতন্ত্র । মাঝে মাঝে সমুদ্রের জল তুলে তাপমান দিয়ে পরীক্ষা করে সেই ধারাপথ নিৰ্ণয় করা দরকার । সেই ধারার ম্যাপ বের করে তাদের গতিবেগের সঙ্গে জাহাজের গতিবেগের কি রকম কাটাকাটি হচ্চে, তাই তিনি মুকুলকে বোঝাতে লাগলেন। তাতেও যখন সুবিধা হল না, তখন বোর্ডে খড়ি দিয়ে একে ব্যাপারটাকে যথাসম্ভব সরল করে व्5ि ।। কোনো বিলিতি জাহাজে মুকুলের পক্ষে এটা কোনােমতেই সম্ভবপর হত না । সেখানে মুকুলকে অত্যন্ত সোজা করেই বুঝিয়ে দিত যে, ও জায়গায় তার নিষেধ। মোটের উপরে জাপানী অফিসরের সৌজন্য, কাজের নিয়মবিরুদ্ধ। কিন্তু পূর্বেই বলেচি, এই জাপানী জাহাজে কাজের নিয়মের ফঁাক দিয়ে মানুষের গতিবিধি আছে । অথচ নিয়মটা চাপা পড়ে যায় নি, তাও বারবার দেখেচি । জাহাজ যখন বন্দরে স্থির ছিল, যখন উপরিতলার কাজ বন্ধ, তখন সেখানে বসে কাজ করবার জন্যে আমি কাপ্তেনের সম্মতি পেয়েছিলুম। সেদিন পিয়ার্সন সাহেব দুজন ইংরেজ আলাপীকে জাহাজে নিমন্ত্রণ করেছিলেন। ডেকের উপর মাল তোলার শব্দে এণ্ডজ সাহেব বিরক্ত হয়ে হঠাৎ প্ৰস্তাব করলেন, উপরের তলায় যাওয়া যাক । আমি বিনা সম্মতিতে এদের নিয়ে যাওয়া অন্যায় মনে করে, প্রধান অফিসারকে জিজ্ঞাসা করলুম-তিনি তখনি বল্লেন, “না।” নিয়ে