পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

史也8 সবুজ পত্র vsta, ele মোরারজির বাড়ীতে আহারে আলাপে অভ্যর্থনায় কাল রাত্তিরটা কেটেচে । এখানকার ঘরকন্নার মধ্যে প্ৰবেশ করে’। সব চেয়ে চোখে পড়ে জাপানী দাসী ! মাথায় একখানা ফুলে ওঠা খোঁপা, গাল দুটো ফুলো ফুলো, চোখ দুটো ছোট, নাকের একটুখানি অপ্রতুলতা, কাপড় বেশ সুন্দর, পায়ে খড়ের চটি ; কবিরা সৌন্দর্ঘ্যের যেরকম বৰ্ণনা করে থাকেন, তার সঙ্গে অনৈক্য ঢের ; অথচ মোটের উপর দেখতে ভাল লাগে ; যেন মানুষের সঙ্গে পুতুলের সঙ্গে, মাংসের সঙ্গে মোমের সঙ্গে মিশিয়ে একটা পদার্থ ; আর সমস্ত শরীরে ক্ষিপ্ৰতা, নৈপুণ্য, বলিষ্ঠতা। গৃহস্বামী বলেন, এরা যেমন কাজের, তেমনি এর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। আমি আমার অভ্যাস বশতঃ ভোরে উঠে জানালার বাইরে চেয়ে দেখলুম, প্রতিবেশীদের বাড়ীতে ঘরকন্নার হিল্লোল তখন' জাগতে আরম্ভ করেচে— সেই হিল্লোল মেয়েদের হিল্লোল। ঘরে ঘরে এই মেয়েদের কাজের ঢেউ এমন বিচিত্র বৃহৎ এবং প্ৰবল করে। সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু এটা দেখলেই বোঝা যায় এমন স্বাভাবিক আর কিছু নেই। দেহযাত্ৰা জিনিসটার ভার আদি থেকে অন্ত পৰ্য্যন্ত মেয়েদেরই হাতে,-এই দেহযাত্রার আয়োজন উদ্যোগ মেয়েদের পক্ষে স্বাভাবিক এবং সুন্দর । কাজের এই নিয়ত তৎপরতায় মেয়েদের স্বভাব যথার্থ মুক্তি পায় বলে শ্ৰীলাভ করে। বিলাসের জড়তায় কিম্বা যে কারণেই হোক, মেয়েরা যেখানে এই কৰ্ম্মপরতা থেকে বঞ্চিত হয়, সেখানে তাদের বিকার উপস্থিত হয়, তাদের দেহমনের সৌন্দৰ্য হানি হতে থাকে, এবং তাদের যথার্থ আনন্দের ব্যাঘাত ঘটে । এই যে এখানে সমস্তক্ষণ ঘরে ঘরে ক্ষিপ্ৰবেগে মেয়েদের