পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা दgदांबू यहूनि S ግ S বড়বাবুর মনে শুধু দুটি ভােব প্রবল হয়ে উঠেছিল, স্ত্রীর প্রতি অনুরাগ, আর ব্ৰাহ্মসমাজের প্রতি রাগ। ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের প্রতি অবশ্য তার কোনরূপ বিদ্বেষ ছিল না, কেননা তিনি ধৰ্ম্ম নিয়ে কখনও মিছে মাথা বকান নি। দেবতা এক কি বহু, ঈশ্বর আছেন কি নেই,-যদি থাকেন, তাহলে তিনি সাকার কি নিরাকার, ব্ৰহ্ম সগুণ কি নিগুণ, দেহাতিরিক্ত আত্মা নামক কোনও পদার্থ আছে কি না, থাকলেও তার স্বরূপ কি,-এ সকল সমস্যা তার মনকে কখনও ব্যতিব্যস্ত করে নি, তঁর নিদ্রার এক রাত্তিরের জন্যও ব্যাঘাত করে নি। তিনি জানতেন যে, বিশ্বের হিসারের খতিয়ান করবার জন্য তিনি জন্মগ্রহণ করেন নি। তবে এর থেকে অনুমান করা অসঙ্গত হবে যে, তিনি নাস্তিক ছিলেন। আমাদের অধিকাংশ লোকের ভূতপ্ৰেত সম্বন্ধে যে মনোভাব, ঠাকুর দেবতা সম্বন্ধে বড়বাবুর ঠিক সেইরূপ মনোভাব ছিল; অর্থাৎ তিনি তাদের অস্তিত্বে সম্পূর্ণ বিশ্বাস না করলেও, পুরো ভয় করতেন। আফিসের হয়ে মিথ্য সাক্ষী দিতে হলে, তিনি কালিঘাটে আগে পুজো দিয়ে পরে আদালতে আসতেন,-এই উদ্দেশ্যে যে মা কালী তাকে জেরার হাত থেকে রক্ষণ করবেন। ব্ৰাহ্ম সমাজের ধৰ্ম্মমত নয়, সামাজিক মতামতের বিরুদ্ধেই তার সমস্ত অন্তরাত্মা বিদ্রোহী হয়ে উঠত। স্ত্রীশিক্ষা, স্ত্রীস্বাধীনতা, যৌন-বিবাহ, বিধবা-বিবাহ-এ সকল কথা শুনে তিনি কাণে হাত দিতেন। এ সব মত যারা প্রচার বরে, তারা যে সমাজের ঘোর শত্ৰুসে বিষয়ে তঁর বিন্দুমাত্ৰও সন্দেহ ছিল না। তঁর নিজের পক্ষে কি ভালমন্দ, তারই হিসেব থেকে তিনি সমাজের পক্ষে কি ভালমন্দ তাই স্থির করতেন । স্ত্রী-স্বাধীনতা ? তঁর স্ত্রীকে স্বাধীনতা