পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RQ e সবুজ পত্ৰ @, S७३७ বিশ্ৰী ধারণা জন্মেছিল যে, তার বৌদিদিদের হাজার পীড়াপীড়ি সত্ত্বেও, সে কখনও কোন থিয়েটারের চৌকাঠ ডিঙ্গয় নি। অন্ততঃ সে ত তার স্বামীকে তাই বুঝিয়েছিল। বড়বাবুর্তার স্ত্রীর এ কথা বিশ্বাস করতেন, কেননা তা না করলে তিনি জানতেন যে, তার মুখের ভাত গলা দিয়ে নামবে না, রাত্তিরে চোখের পাতা পড়বে না, আফিসের খাতায় ঠিক নামাতে ভুল হবে, -এক কথায় তঁর বেঁচে আর কোনও সুখ থাকবে না । এর পর তিনি নিজে যদি সেই পাপ থিয়েটার দেখতে যান, তাহলে তঁর স্ত্রী কি আর তাকে ভক্তি করবে ? বলা বাহুল্য র্তার স্ত্রীর স্বামীভক্তির উপরে তিনি তাঁর জীবনের সকল আশা, সকল ভরসা প্ৰতিষ্ঠিত করে রেখেছিলেন । একদিকে স্বচক্ষে সংস্কারকদের লাঞ্ছনা দেখবার অদম্য কৌতুহল, অপরদিকে স্ত্রীর ভক্তি হারাবার ভয়-এই দুটি মনোভাবের মধ্যে তিনি এতদূর দোলাচলচিত্তবৃত্তি হয়ে পড়েছিলেন যে, সমস্ত দিনের মধ্যে তীর আর মনস্থির করা হ’ল না । এক্ষেত্রে প্রবৃত্তি আর নিবৃত্তি উভয়েরই বল সমান ছিল বলে, এর একটি অপরটিকে পরাস্ত করতে eद्धछिधन की । A. অতঃপর সূৰ্য যখন অস্ত গেল, তখন “সংস্কারের কেলেঙ্কারের” অভিনয় দেখাটা যে তঁর পক্ষে একান্ত কৰ্ত্তব্য, এই ধারণাটি হঠাৎ তার মনে বন্ধমুল হয়ে গেল ! এক বাড়ীতে দিনটা বড়বাবু কোনমত প্রকারে কাটালেও, ও অবস্থায় সন্ধ্যেটা কাটানো তার পক্ষে বড়ই কষ্টকর হয়ে উঠেছিল। সেই গোধুলিলগ্নে পটেশ্বরী সম্বন্ধে যতরকম দুশ্চিন্তা, সংশয়, ভয় ইত্যাদি চামচিকে বাদুড়ের মত এসে তাঁর সমস্ত মনটাকে অধিকার করে বস্ত । তিনি দুদিন এ উপদ্রব সন্থ করে