পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা दफुदांबूद्ध दफुनि SRrS • এর পর নলদময়ন্তীর অভিনয় সুরু হল। বড়বাবুহঁ করে তাই দেখতে লাগলেন। এ যে অভিনয়, এ জ্ঞান দু’মিনিটেই তার লোপ পেয়ে এল,-“তঁর মনে হল নলদময়ন্তী প্ৰভৃতি সত্যসত্যই রক্তমাংসের দেহ ধারণ করে, সাবিত্রী থিয়েটারে অবতীর্ণ হয়েছেন। তারপর রঙ্গমঞ্চের উপরে যখন স্বয়ংবর-সভার আবির্ভাব হ’ল-তখন, থিয়েটারের অভ্যস্তরে অকস্মাৎ একটা মহা গোলযোগ উপস্থিত হ’ল। পুরুষদের মাথার উপরে চিকের অপর পারে, রঙ্গালয়ের যে প্রদেশ মেয়েরা অধিকার করে বসেছিলেন, সেই অঞ্চল থেকে একটা বড় উঠল। কোনও অজ্ঞাত কারণে সমবেত স্ত্রীমণ্ডলী ঐক্যতনে কলরব করতে সুরু করলেন। ফলে আকাশে স্ত্রী-কণ্ঠের কনসার্ট বেজে উঠল, তার ভিতর ক্লারিওনেট করুনেট প্রভৃতি সবরকমেরই যন্ত্র ছিল, এবং তাদের পরস্পরের ভিতর কারও সঙ্গে কারও সুরের মিল ছিল না। তারপর সেই কনসার্ট যখন দুন থেকে পরদুনে গিয়ে পৌছুল,-তখন অভিনয় অগত্য বন্ধ হল। এই কলহ শুনে দময়ন্তীর বড় মজা লাগল, তিনি ফিক করে হোসে দর্শকমণ্ডলীর দিকে পিঠ ফিরিয়ে দাড়ালেন, তঁর সখীরা সব অঞ্চল দিয়ে মুখ ঢাকলেন, আর ইন্দ্ৰ চন্দ্ৰ বায়ু বরুণ প্ৰভৃতি অভ্যাগত দেবতাs তটস্থ হয়ে রইলেন। অমনি silence silence (37 प्रुडूत्रिंक ধ্বনিত হতে লাগল, তাতে গোলযোগের মাত্রা আরও বেড়ে গেল। অতঃপর দর্শকদের মধ্যে অনেকে দাড়িয়ে উঠে, আকাশের দিকে মুখ করে, গলবস্ত্ৰে যোড়করে, উক্ত স্ত্রী-সমাজকে সম্বোধন করে-“মা লক্ষীরা চুপ করুন” এই প্রার্থনা করতে লাগলেন; তাতে মা লক্ষনীদের চুপ করা দূরে থাকুক, তঁদের কোলের ছেলেরা জেগে উঠে কোকিয়ে কঁদিতে সুরু করলে। তখন দর্শকদের মধ্যে দু’চার জন৷ ইয়ারগোছের