পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা वृक्षांदू वसूनि ミb" উপস্থিত হ’ল,-পরণে সেই কাল কস্তাপেড়ে শাড়ী, আর মুখ সেই চিকে ঢাকা । তখন তঁর জ্ঞান হ’ল যে, তার মনে যে সন্দেহের উদয় হয়েছে তা দূর করতে না পারলে, তিনি সত্য সত্যই পাগল হয়ে যাবেন । তাই তিনি শেষটা মনস্থির করলেন যে, থিয়েটার ভাঙ্গাবার মুখে, যে দরজা দিয়ে মেয়েরা বেরোয়, সেই দরজার সুমুখে গিয়ে দাড়িয়ে থাকবেন । কেননা একবার সামনাসামনি স্বচক্ষে না দেখলে, তাঁর মনের এ সন্দেহ আর কিছুতেই দূর হবে না। তারপর যা ঘটেছিল, তা দু’কথায় বলা যায়। থিয়েটার ভাঙ্গাবার মিনিট দশেক পরে থিয়েটারের খিড়কি-দরজায় একখানি জুড়িগাড়ী এসে দাঁড়াল। বড়বাবুর মনে হ’ল, এ তঁর শ্বশুরবাড়ীর গাড়ী ; যদিচ কেন যে তা মনে হল, তা তিনি ঠিক বালুতে পারতেন না। তারপর তিনটী ভদ্রমহিলা আর একটি দাসী অতি দ্রুতপদে এসে সেই গাড়ীতে চড়লে-অমনি সহিস তার কপাট বন্ধ করে দিলে। বড়বাবু এদের কারও মুখ দেখতে পান নি, কেননা সকলোরি মুখ ঘোমটাঢাকা ছিল। এই তিনজনের মধ্যে একজন মাথায় পটেশ্বরীর সমান উচু ; তাই দেখে বড়বাবু বিদ্যুৎ বেগে ছুটে গিয়ে, পা-দানের উপর লাফিয়ে উঠে, দু’হাত দিয়ে জোর করে গাড়ীর দরজা ফাক করলেন। মেয়েরা সব ভয়ে ইউ-মাউ করে চেচিয়ে উঠলো, আর রাস্তার লোকে সব “চোর চোর” বলে চীৎকার করতে লাগল ! বড়বাবু অমনি গাড়ী থেকে লাফিয়ে পড়ে উৰ্দ্ধশ্বাসে দৌড়তে আরম্ভ করলেন, আঁর পিছনে অন্ততঃ পঞ্চাশজন লোক ‘পাহারাওয়ালা পাহারাওয়ালা।” বলে ইয়াক দিতে দিতে ছুটতে লাগল। এই ঘোর বিপদে পড়ে বড়বাবুর বুদ্ধি খুলে গেল। তিনি যেন বিদ্যুতের আলোতে দেখতে