পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা একটি জরুরী প্ৰস্তাব RWS

  • যেমন স্বপ্নলব্ধ ঔষধ কখনও ব্যর্থ হয় না, তেমনি স্বপ্নলব্ধ জ্ঞানও যে কখনও মিথ্যা হয় না- এ কথা হিন্দুসস্তানমাত্রেই জানেন, কিন্তু ইংরাজী শিক্ষার দোষে মানেন না । সুতরাং গদ্যকে সাহিত্য হইতে বহিস্কৃত করিয়া দিবার স্বপক্ষে যে সকল সুযুক্তি আছে, নিম্নে তাহা প্ৰকটিত করিতেছি। চিন্তাশীল পাঠকমাত্ৰেই দেখিতে পাইলেন যে, তাহার একটিও উদ্ভান্ত নহে, প্রতিটিই অভ্রান্ত। সাহিত্য কি প্ৰকাশ করে ? না, জাতীয় আত্মা। কি উপায়ে তাহা প্ৰকাশ করে ? না, জাতীয় রীতিতে ।

বাঙ্গালীজাতির আত্মপ্রকাশের আত্মরীতি যে পদ্যের রীতি, এ কথা তিনিই অস্বীকার করিতে পারেন, যিনি চণ্ডীদাস এবং ভারতb6ङछद्र नाभ °ार्थjरुछ ऐetन° कgझन् ना३ । ইহা ধ্রুবসত্য যে, পলাশীর যুদ্ধের পূর্বে বঙ্গসাহিত্যে এক ছত্রও গদ্য লিখিত হয় নাই, সে যুগে পদ্যের একছত্র রাজত্ব ছিল। শ্ৰীযুক্ত দীনেশ্চন্দ্ৰ সেন প্রাকব্রিটীশ যুগের গদ্যের যে সকল নিদর্শন সংগ্ৰহ করিয়াছেন, তাহার সহিত সাহিত্যের কোনই সম্পর্ক নাই। পাট্টা, কবুলিয়ৎ, দানপত্র, ছাড়পত্র প্রভৃতি সাহিত্যজগতের বস্তু নয়, অপর এক জগতের,-কৰ্ম্মজগতের । ইহা হইতে বুঝা যাইতেছে যে, গদ্য কৰ্ম্মকথার বাহন, কাব্যকথার নহে-অন্ততঃ বাঙ্গলাদেশে তাই। সুতরাং গদ্য আমাদের কাব্য-জগতে প্ৰবেশ করিয়া, কেবলমাত্র স্বাধিকার-প্ৰমত্ততার পরিচয় দিয়াছে; অতএব তাহাকে সাহিত্যের অলকাপুৰী হইতে নিৰ্বাসিত করা আমাদের পক্ষে যুগপৎ শ্ৰেয়ঃ এবং কৰ্ত্তব্য। এ ধ মহামহোপাধ্যায় শ্ৰীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় বলিয়াছেন যে, V9J