পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

象为8 সবুজ পত্র vett, 99.9 BBD DBD DBD DDBDBS BD DDDD BgBBD BD SYD না। ইহার কারণ স্পষ্ট। আমরা পদ্য অর্থে বুঝি সেই রচনা, যাহা ছন্দোবদ্ধ এবং মিলনান্ত। মাইকেলের কাব্য ছন্দোবদ্ধ হইলে ও বিয়োগান্ত, KDLSB DBK BDDD LSK DBBBDLS DD BDD DS আমার মতে বাঙ্গলা পদ্য হইতে মিল বাদ দিলে-পদ্য লেখার যাহা প্ৰদান উদ্দেশ্য, তাহাঁই বাদ পড়িয়া যায় -মিলের সংস্কৃত নাম অন্তঃ-অনুপ্ৰাস । এই নামের অর্থের প্রতি মনোনিবেশ করিলে সকলেই দেখিতে পাইবেন যে, মিল করিবার উদ্দেশ্যই হইতেছে-- বাক্যকে শেষ করা। পয়ারের উদ্দেশ্য বক্তব্যকথা দুই ছত্ৰে শেষ করা, আর লাচাড়ির উদ্দেশ্য ছা-ছত্ৰে শেষ করা । গদ্য অনন্ত, অর্থাৎ নিরাকার । অপর পক্ষে পদ্য সান্ত বলিয়াই সাকার। এ স্থলে আপনাদিগকে একটি কথা স্মরণ করাইয়া দিতে চাই। বাঙ্গলা দেশে যিনি মূৰ্ত্তিপূজার বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হন, তিনিই বঙ্গসাহিত্যে গদ্যের প্রথম না হউন, প্ৰধান প্ৰবৰ্ত্তক-রামমোহন রায় । কৰ্ম্ম-জগৎ অবশ্য কাব্য-জগৎও নয়, বাক্য-জগৎও নয়; কেননা সে দেশে হস্তপদাদি চালনার যথেষ্ট অবকাশ থাকিলেও, রসনা চালনার তাদৃশ অবসর নাই। যদিচ এ কথা সম্পূর্ণ সত্য যে, “তাবাচ্চ শোভতে কৰ্ম্মী যাবৎ কিঞ্চিন্ন ভাষতে,” তথাচ আমি সে জগৎ হইতে গদ্যকে উচ্ছেদ করিবার জন্য কিছুমাত্র ব্যস্ত নাহি । তবে আমার মতে, কৰ্ম্ম-জগৎ যখন মৌনতার মাহাত্ম্য এতদিনেও বুঝিল না, তখন সে জগতের কোনও কোনও প্রদেশ পদ্যের অধিকারে আসিলে কৰ্ম্মেরও মঙ্গল, দেশেরও মঙ্গল হইবে। ধরুন যদি আদালতে ও লাটদরবারে গদ্যের পরিবর্তে পদ্যে বক্তৃতা করিবার নিয়ম প্ৰচলিত হয়, বক্তারা যদি তাহদের রক্তব্য কথা দ্বিপদী