পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ वर्षं, ** १J একটি জরুরী প্ৰস্তাব RNdt ত্ৰিপদী এবং চতুস্পদীতে আবদ্ধ করিতে বাধ্য হন—তাহা হইলে তঁহাদের মধ্যে কয়জন চতুস্পদের সীমা অতিক্ৰম করিতে পরিবেন ? সুতরাং ঐ রূপ হওয়াতে আইন আদালত অবশ্য বন্ধ হইবে না-বন্ধ হইবে শুধু সময়ের অজস্র অপব্যয় । যাহারা সময়ের মূল্য জানেন, তঁহারাই বুঝিবেন ইহাতে দশের এবং দেশের কি প্রভূত লাভ। সে যাহাই হউক, মাইকেলের উদ্ভাবিত অমিত্ৰাক্ষর বাঙ্গলাসাহিত্যে স্থায়ী হইল না । মেঘনাদবধের অনুকরণে দুইখানিমাত্ৰ মহাকাব্য রচিত হইয়াছে; তাহার একখানির (“ছুছুন্দরী বধ” কাব্যের) বৰ্ত্তমান সাহিত্যের উপর কোনই প্রভাব লক্ষিত হয় না-অপােরখানির (“ভারতউদ্ধার” কাব্যের) প্রভাব রাজনীতি ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সাহিত্যে নয়। ফলে গদ্য টিকিয়া গেল। তৃহার পর বঙ্কিমচন্দ্রের অসামান্য প্ৰতিভার বলে গদ্য বঙ্গসাহিত্যের সর্বোচ্চস্থান অধিকার করিয়া বসিল । এক কথায়, গদ্যের জয় হুইল ; এবং তদবধি গদ্য বঙ্গসাহিত্যের উপর আধিপত্য করিয়া আসিতেছে। তবে ইহা হইতে এ অনুমান করা অসঙ্গত হুইবে যে, বাঙ্গালী জাতির মানসিক পরিবর্তনের ফলেই গদ্য কর্তৃক পদ্য তিরস্কৃত হইয়াছে। । আমার বিশ্বাস, বাঙ্গালী পদ্যপ্ৰাণ বলিয়াই বঙ্কিমের গদ্য বাঙ্গালীকে এত মুগ্ধ করিয়াছে। সে গদ্য, সংস্কৃত আলঙ্কারিক ভাষায় বলিতে গেলে, “বৃত্তগন্ধী গদ্য ।” বাঙ্গলা ভাষায় ইহার কোনও প্ৰতিবাক্য নাই। তবে ইংরাজীতে যাহাকে poetic prose কহে-বৃত্তগন্ধী গদ্য কতকটা সেই জাতীয় । এবং বঙ্কিমের গদ্যে পদ্যের গন্ধ থাকাতেই, বাঙ্গালী পাঠকের নিকট তাহা এতাদৃশ আদরের সামগ্ৰী হইয়াছে। মাইকেল পদ্যকে গদ্যের কোঠায় তুলিতে যাওয়াতে,