পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩১০

Rody সবুজ পত্র उi, '$७२७ “কাহিনী” । পদ্যস্থ হইয়াই ও-সকল গল্প শতদলের মত ফুটিয়া উঠিয়াছে। আমরাও যদি ছোটগল্প পদ্যে লিখি, তাহা হইলে সে গল্প আর কিছু না হউক, ছোট হইতে বাধ্য। তাহার পর প্রত্নতত্ত্ব যে গদ্যের অধিকারভুক্ত, অনেকের মনে এই ভুল ধারণা আছে। তাহার কারণ আমরা আত্মবিস্মৃত । যাহার উপর আধুনিক প্রত্নতত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত,-কুলপঞ্জিকা ও শিলালিপি-তাহা যে আগাগোড়া পদ্যে লিখিত, ইহা ত প্ৰত্যক্ষ সত্য । সুতরাং প্রত্নতত্ত্ব গদ্যে লিখিলে, অতীতের সহিত বর্তমানের যোগ রক্ষা করা হয় না। অর্থাৎ প্রত্নতত্ত্ব গদ্যে লেখার অর্থ, ঐতিহাসিক বুদ্ধিকে নষ্ট করিয়া ইতিহাসের চর্চা করা । YA অতঃপর বাকি রহিল এক সমালোচনা। আমি জানি যে, পদ্যে সমালোচনা লিখিবার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে চতুর্দিক হইতে ঘোরতর আপত্তি উধিত হইবে, কেননা উক্ত পদ্ধতি অবলম্বিত হইলে, বহু সমালোচককে হাত গুটিাইয়া বসিতে হইবে। কিন্তু আমি নবীন প্ৰবীন সকল সাহিত্যিককে জিজ্ঞাসা করি যে, সমালোচনার পরিমাণ কমিয়া যাওয়াতে বঙ্গ-সাহিত্যের কি কিছু ক্ষতি হইবে ? এ প্রশ্নের উত্তরে “হঁ” শব্দ । কয়জনে নাদ সুরে উচ্চারণ করিতে পারেন P বলা বাহুল্য যে, নাদিসুর কণ্ঠ হইতে নিঃসৃত হয় না, বক্ষ হইতে উখিত হয়। আমি ধরিয়া লইতেছি যে, ভবিষ্যতে কবিতা, গল্প ও প্রত্নতত্ত্ব পদ্যেই BB DDS DB DBK DS BD DBBDD g gB DBDLB KYDD না, তাহার যে সমালোচনা করিবার অধিকার আছে, এ কথা কোনও কবি, গল্পলেখক কিম্বা প্রত্নতাত্ত্বিক স্বীকার করিবেন না। : এ প্রস্তাব সম্বন্ধে যদি কেহ এই আপত্তি-সূচক প্রশ্ন করেন যে,