পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ORR সবুজ পত্ৰ स्त्रांशिंन ७ श्रुढिंक, s७२७ করে, এবং যে উত্তেজনাপ্রবণতায় মানুষের মনোবৃত্তি ও হৃদয়বৃত্তিকে মেঘাচ্ছন্ন করে তোলে, এই সৌন্দৰ্য্যবোধ তাকে পরিশান্ত করে । সেদিন একজন ধনী জাপানী তার বাড়িতে চা-পান অনুষ্ঠানে আমাদের নিমন্ত্রণ করেছিলেন । তোমরা ওকাকুরার Book of Tea পড়েচ, তাতে এই অনুষ্ঠানের বর্ণনা আছে। সেদিন এই অনুষ্ঠান দেখে স্পষ্ট বুঝতে পারুলুম, জাপানীর পক্ষে এটা ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের তুল্য। এ ওদের একটা জাতীয় সাধন । ওরা কোন আইডিয়ালকে লক্ষ্য করচে, এর থেকে তা বেশ বোঝা যায়। কোবে থেকে দীর্ঘ পথ মোটর যানে করে গিয়ে, প্রথমেই একটি বাগানে প্ৰবেশ করলুম- সে বাগান ছায়াতে, সৌন্দৰ্য্যে এবং শাস্তিতে একেবারে নিবিড়ভাবে পূর্ণ। বাগান জিনিসটা যে কি, তা এর জানে। কতকগুলো কঁকির ফেলে। আর গাছ পুতে, মাটির উপরে জিয়োমেটি, কষাকেই যে বাগান করা বলে না, তা জাপানী-বাগানে ঢুকলেই বোঝা যায়। জাপানীর চোখ এবং হাত দুইই প্ৰকৃতির কাছ থেকে সৌন্দৰ্য্যের দীক্ষালাভ করেচে-যেমন ওরা দেখতে জানে, তেমনি ওরা গড়তে জানে। ছায়াপথ দিয়ে গিয়ে এক জায়গায় গাছের তলায় গর্ড-করা একটা পাথরের মধ্যে স্বচ্ছ জল আছে, সেই জলে আমরা প্ৰত্যেকে হাত মুখ ধুলুম। তারপরে একটি ছোট্ট ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে বেঞ্চির উপরে ছোট ছোট গোল গোল খড়ের আসন পেতে দিলে, তার উপরে আমরা বসলুম। নিয়ম হচ্ছে এইখানে কিছুকাল নীরব হয়ে বসে থাকতে হয়। গৃহস্বামীর সঙ্গে যাবামাত্রই দেখা হয় না। মনকে শান্ত করে স্থির করবার জন্যে, ক্ৰমে ক্রমে