পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Not . সবুজ পত্ৰ स्त्रांत्रिंत्र ७ बॉठिंक ४e३७ ভাষা যতই বিভিন্ন হোক না কেন তারা এক রুচি, এক স্মৃতি, এক ধৰ্ম্ম বা এক আদর্শেরদ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এক হতে পারে। সুতরাং সভ্যজাতির-জাতীয়তা ভাষার দ্বারা সম্পূৰ্ণ সীমাবদ্ধ নয়। এইবার আমার শেষ কথা । আমার মতে কেবল বাংলার মাটী ংলার জল বলে কঁদলে বরং স্বদেশ-সেবক হওয়া যেতে পারে কিন্তু বাঙ্গালী হওয়া যায় না । বাঙ্গালী হতে হলে বাংলা-ভাষার , আদর করা চাই ; কিন্তু তা কি সকলে করেন ? অনেকেই তা বাংলাভাষাকে দুগ্ধপোন্য অর্বাচীন বলে ঘূণায় নাসিক কুঞ্চিত করেন। তাদের মতে সংস্কৃত ভাষাই হচ্ছে আদর্শ পরিণত ভাষা ; কারণ সে হচ্ছে ‘গীর্বাণবাণী’ অর্থাৎ দেবতাদের ভাষা-সে ভাষার কোন জায়গায় কোন খােত নেই।--সে ভাষা। যেমন মধুর তেমনি উন্নত, তেমনি দুরূহ। সে ভাষার ব্যাকরণ আছে, অলঙ্কার আছে, অর্থাৎ তার পাইক বরকন্দাজ কিছুরই অভাব নেই, তার গায় হাত দেওয়া যার তার কাজ নয়। সে যেমন সুন্দর তেমনি তার চাল চলন হাব ভাব ভঙ্গী সব কলের মত বাধা, সে নিজের গর্বে নিজের ঐশ্বৰ্য্যে শক্ত হয়ে বসে আছে, পরের কাছে সে কিছুরই প্রার্থী নয়। তার অক্ষয়ভাণ্ডার হতে ভাব ভাষা চুরি করে’ বাংলার মত কত শত প্ৰাকৃত ভাষা দাড়িয়ে গেল, কিন্তু তা হলেও তারা কখন সংস্কৃতের সমকক্ষ হতে পারবে না। কারণ তারা সংস্কৃতেরই সন্তান। এই জন্যে অনেকে বৈষয়িক বা সাংসারিক কথাবাৰ্ত্তা বাংলাতে বল্পেও চিন্তার রাজ্যে প্ৰবেশ করতে হলেই সংস্কৃতের লৌহদ্বারের সম্মুখে উপস্থিত হন । তঁাদের মতে সংস্কৃত চাবি ভিন্ন কাব্য-দর্শনের দ্বার উদঘাটিত হয় না । একটু চিন্তা করলেই দেখা যায় যে, তঁদের এই ধারণা নিতান্তই