পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, ষষ্ঠ ও সপ্তম সংখ্যা ফরাসী ও জাৰ্ম্মাণ x96 ዓ গা-জুরী-এর ভিতর কোন যথাযথ কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। সংস্কৃত-ভাষায় কি এমন যাদুমন্ত্র আছে, যাতে মনের ক্ষুধা মেটাতে হলে তারই নিকটে আমাদের দৌড়ে যেতে হবে ? আমাদের নিত্য নূতন জীবনের দাবী কি সে এখনো পরিপূর্ণ করতে পারবে ? সে যে ল্যাটিন-ভাষার মতই প্ৰাচীন-সে যে অনেক দিন থেকে মরে ‘মমি’ হয়ে রয়েছে । তার আড়ষ্ট দেহের ভার বহন করে, আমাদের তরল কোমল ভাবগুলি কি সাহিত্যের পথে বেশী দূর অগ্রসর হবে ? কেন সংস্কৃতের উপর আমাদের এ অযথা পক্ষপাত ? সন্তানের গুণ কি কখনো মাতার গুণকে অতিক্রম করে যেতে পারে না ? জগৎ সর্বত্রই উন্নতির পথে যাচ্ছে এই যদি Evolution-এর অর্থ হয়, তবে ভাষাই কি কেবল অবনত হচ্ছে ? স্বীকার করি সংস্কৃতের উপর আমাদের একটা স্বাভাবিক ভক্তি আছে, কারণ সংস্কৃত নাকি সকল ভাষার আদি জননী, কিন্তু এ আদি জননী বাংলা-ভাষার মাতাই হোক আর মাতামহীই হোক-আমাদের মাতৃভাষা ত বাংলা। আমাদের কাছে সে ত সব চেয়ে বেশী গ্ৰীতির দাবী করতে পারে। তার ব্যাকরণ অলঙ্কার না থাক, তার জীবন আছে-সে দশ হাতে আমাদের জন্য যেখান থেকে যা ভাল, তাই কুড়িয়ে এনে দিচ্ছে, আর আমরা কিনা তাকে চোর বলে, ভিখারিণী বলে নিন্দে করছি ? এটা ঠিক মাতৃভক্তির পরিচয় দেয় ? আমার শেষ নিবেদন এই যে, আমরা যেন, আমাদের অতীতের গৌরবের চাপে আমাদের বর্তমানকে কাবু না করি।--স্বজাতীয়তার জার্মাণ মদ ও জাৰ্ম্মাণ মোহ যেন আমাদের মনকেও আচ্ছন্ন ও अवननि न कब्र । শ্ৰী সতীশ চন্দ্ৰ ঘটক ।