পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, যষ্ঠ ও সপ্তম সংখ্যা रिश्नू जत्रौऊ NOS বুঝিতে পরিবেন, সেই মিলনক্ষেত্ৰ অচিরে একটি করুণ বিচ্ছেদ সঙ্গীতে মুখরিত হইয়া উঠিবে। খাটী দেশী-সুর বিলাতী-সুরের পুতিগন্ধ সহ করিতে না পারিয়া মিলনের সুখ অপেক্ষা চিরবিরহের দুঃখকেই বরণ করিয়া লইবে; আর তাহার ফলে এই দাড়াইবে যে বিলাতী মিশ্রিত ' সুরই একদিন আমাদের দেশের সুর হইয়া দাড়াইবে, দেশী সুরের অস্তিত্ব পৰ্যন্ত দেশের লোকে ভুলিয়া যাইবে। মাঝে হইতে সম্পূর্ণতা সম্পাদন ত হইলই না, পরস্তু নিজের যে আধখানা ছিল তাহার স্থানে পরের আধখানা আসিয়া আসন গাড়িয়া বসিল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ৫০ কি ৬০ বৎসরের মধ্যেই আমাদের খাটী দেশী-সুর গুলি লুপ্ত হইয়া যাইবে। এখনও তবু দু'এক জনকে খাটী দেশী সঙ্গীতের সুর, তাল, লয় প্রভৃতির চর্চা করিতে দেখা যায়। কিন্তু আমার বিশ্বাস। এইভাবে যদি আপনারা কেবল নিজ নিজ যুক্তিকৈ সমর্থন করিবার জন্য, একটা প্ৰকাণ্ড সত্যকে ক্রমাগতক বিধ্বস্ত করিতে চেষ্টা করেন, তাহা হইলে DD DDD DDD BE BB BBBDD BB BBDD SDB D BDDBS চনীর দ্বারা প্রবল হইয়া উঠিবে,কিন্তু অন্যদিকে সঙ্গীতের যে মহাসর্বনাশ হইবে তাহার ক্ষতিপূরণ হওয়া দুষ্কর। সে দিন আমার একজন বিশিষ্ট গায়কবন্ধু দুঃখ করিয়া বলিতেছেন, "আমার রাগিণী আলাপ শুনে আজকালকার ছেলেরা হাসে আর বলে লোকটা যেন বিকারের ঝোঁকে প্ৰলাপ বকছে।” আমি জিজ্ঞাসা করি এরূপ ‘প্ৰলাপ’ বকিতে ছেলেদের কাহারা উত্তেজিত করিতেছে ? একজন বালককে যদি প্ৰণয়ের রসাল কবিতা পড়িতে দেওয়া হয়, এবং তাইমি পর কোন জটীল প্ৰবন্ধের মধ্যে মনোনিবেশ করিতে বলা হয়, তবে সে ভাহি শত চেষ্টাতেও পারবে কিনা সন্দেহ। সে বলিবে