পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, ষষ্ঠ ও সপ্তম সংখ্যা श्न्यूि जत्रोड Vbs প্রমাণ করা যে, মাৰ্গ এবং দেশী-সঙ্গীতে আসলে কোনও বিরোধ নেই। গ্ৰন্থকারের নিজের কথা এই “রাগবিবোধিং বিদধে বিরোধ রোধায় লক্ষ্যলক্ষণয়ো”। উপরোক্ত বাক্যে লক্ষ্য অর্থে দেশী, এবং লক্ষণ অর্থে মার্গ। এ দুয়ের মধ্যে যে বিরোধ নেই শুধু তাই নয়,--টীকাকারের মতে দেশী সঙ্গীত মাৰ্গ সঙ্গীতেরই একটি বিশেষ শাখা। এ শাখাকে যদি কেউ কঁাচ ডাল বলেন, তাতে আমার আপত্তি নেই-কিন্তু তাই বলে সেটিকে যে ভাঙ্গতেই হবে, এমন কোনও বিধি শাস্ত্রে নেই। অতএব দেখা গেল যে শাস্ত্ৰমতেও দেশী-সঙ্গীত অ্যালাপাদিবিহীন হওয়ার দরুণ বিদেশী হয়ে পড়ে না । সুতরাং ৩/দ্বিজেন্দ্ৰলাল রায় এবং শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্ৰ নাথ ঠাকুর মহাশয়ের গান আলাপনিবদ্ধ নয় বলে যে তা হিন্দু-সঙ্গীত নয়, এবং জনগণের হৃদয়রঞ্জন করে বলে যে তা কোনও “প্ৰকাণ্ড সত্যের” বিরোধী, এ হতেই পারে না,--- নচেৎ রামপ্রসাদী সুরকেও অহিন্দু বলতে হয়। সুতরাং এ কথা নিৰ্ভয়ে বলা যেতে পারে যে দেশী-সঙ্গীতও হিন্দুসঙ্গীত, এবং সে সঙ্গীত সোনার পালঙ্কে শুয়ে নেই-কিন্তু দেশের মাটিতে নোচে-কুদে বেড়াচ্ছে, অর্থাৎ নৰ্ত্তনে কীৰ্ত্তনে সে তার প্রাণের নিত্যসূতন পরিচয় দিচ্ছে। এতে আশ্চৰ্য্য হবার কিছুই নেই, কেননা রাগ বিবোধের টীকাকার কল্লিনাথ-সম্ভবতঃ ইনি মল্লিনাথের সহোদরবলেছেন, দেশী-সঙ্গীত কামচারী। এ সঙ্গীত অবশ্য সর্বাঙ্গসুন্দর নয় । রবীন্দ্ৰনাথ তঁর প্রবন্ধে এই দেশী-সঙ্গীতের হাল-চাল সম্বন্ধে বলেছেন ঃ প্রথম চালটা সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর নয়, তার অনেক ভঙ্গী হাস্যকর এবং কুশ্রী ; Ai E LL0 DBEE DgSDLB BBBB BBD DDS BB BDD DDD DS 8