পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v9ዓ\9 Nffa e काउिँक, ატპტ ( b ) কি চিত্রে, কি কাব্যে, কি সঙ্গীতে-আর্টিষ্ট মাত্ৰেই নবস্তুর স্রষ্টা । সুতরাং আর্টের যে শিক্ষাপদ্ধতি আর্টিষ্টকে নববস্তু স্বষ্ঠির পথে বাধা দেয়, সে শিক্ষা আর্টের উন্নতির পথ রোধ করে। আমাদের দুর্ভাগ্যবশতঃ, আমাদের দেশে সঙ্গীত-শিক্ষার পুরো ঝোঁকটা পুনরাবৃত্তির উপরেই পড়েছে। সুতরাং মাগ-সঙ্গীতে এ দেশে নব নব রাগরাগিনীর সৃষ্টি বহুকাল থেকে একরকম বন্ধ হয়ে গেছে । আমরা composer হবার অধিকারে বঞ্চিত হয়েছি। শকুন্তলা সংস্কৃত নাটকের শীর্ষস্থান অধিকার করে আছে বলে’, সংস্কৃত কবিরা যদি তারই আবৃত্তি ও অনুবৃত্তি করাই তঁদের একমাত্ৰ কৰ্ত্তব্য বলে’ মনে করতেন, তাহলে উত্তররাম-চরিত রচিত হত না।, আর্টিষ্টকে কিন্তু একেবারে গতানুগতিকের দাস করা যেতে পারে না, সুতরাং সুরের নূতন মূৰ্ত্তি গড়বার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আমাদের দেশের গুণীর দল তাদের সকল রচনাশক্তি অলঙ্কারের বৈচিত্ৰ্য-সাধনের উপরেই প্ৰয়োগ করেছে। এর সুফল হয়েছে এই যে, বাধা ঠাটের হাত থেকে কথঞ্চিৎ মুক্তি লাভ করে” মাৰ্গ সঙ্গীত তরঙ্গিত হয়ে উঠেছে, অপর পক্ষে তার কুফল হয়েছে এই যে, রাগরাগিনী, কাণ্ডজ্ঞানহীন খেয়ালীর হাতে পড়ে, অলঙ্কারের অন্তরে অন্তহিত হবার সুযোগ পেয়েছে।. ধ্রুপদে তানের স্থান নেই, সুতরাং ও গানে ওস্তাদি দেখাতে হলে তালের গুণ ভাগ করা ছাড়া উপায়ান্তর নেই। অপর পক্ষে খেয়ালের তাল ঠেকায় গিয়ে দাড়ানোতে, সে গানে ওস্তাদি দেখাতে হ’লে- তানের যোগ বিয়োগ করা ছাড়া উপায়াস্তুর নেই। ফলে মার্গসঙ্গীতের গুণীপনা এখন তাল ও সুরের আঁক-কষাতে পরিণত হয়েছে ।