পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o q6, is e ex Mt । श्लूि नौङ w9ፃ እ সঙ্গীতের আনন্দ যে শুধু আংশিক ভাবে নয়, সম্পূর্ণরূপে লোকোস্তৱাহিলাদ, সঙ্গীত-রস যে আমাদের হৃদয়-রসের বিকারমাত্র নয়, এ সত্য গ্ৰাহ করবার পক্ষে তেমন কিছু বাধা নেই। সঙ্গীতেও শব্দ আছে, কিন্তু সে শব্দের কোন লৌকিক অৰ্থ নেই। সঙ্গীতের ভাষা আমাদের “কাণের ভিতর দিয়া মরমে প্রবেশ করে”, কিন্তু মস্তিষ্কের পথ ধরে নয় ; অর্থাৎ সঙ্গীত আমাদের বুদ্ধিবৃত্তির অধীনও নয়, গ্ৰাহও নয়। সুতরাং সঙ্গীত-রস যে কেবলমাত্র অনুভূতি সাপেক্ষ, তার স্পষ্ট পরিচয় যন্ত্রসঙ্গীতে পাওয়া যায় । যার বীণ কি বেহালা শুনে প্ৰাণ আকুল না হয়ে ওঠে, তার প্রাণে সঙ্গীত নেই। গায়কের রাগরাগিনীর আলাপ ও ঐ যন্ত্রসঙ্গীতেরই সামিল ; তফাৎ এইটুকু—এ স্থলে যন্ত্র হচ্ছে কণ্ঠ,-তাত কিম্বা তার নয়। গীত, আমার বিশ্বাস, যে পরিমাণে সঙ্গীত হয়ে ওঠে, সেই পরিমাণে তাতে কথার প্রাধান্য কমে আসে । মাগ-সঙ্গীতের চাইতে দেশী-সঙ্গীত যে ঢের বেশী লোকপ্ৰিয়, তার কারণ এ নয় যে দেশী-সঙ্গীত সহজ, ও মাগ-সঙ্গীত কঠিন। দেশীসঙ্গীতে কথার প্রাধান্য থাকার দরুণ তা এত “জনহদ্রাজক”। যাঁরা সঙ্গীত প্ৰাণ নন। তঁরাও লৌকিক অর্থে অতি সহৃদয় ব্যক্তি হতে পারেন। এই শ্রেণীর ব্যক্তির দেশী-সঙ্গীতের কথার রসে মুগ্ধ হন। সে কথা সুরসংযোগে উচ্চারিত হয় বলে’ সম্ভবতঃ তঁদের ইন্দ্ৰিয়ের দ্বারে একটু বেশী করে ঘা দেয়, আর সেই কারণ তঁদের হৃদয়ের কপাট একটু বেশী ফাক হয়ে যায়। এ সত্যের প্রকৃষ্ট উদাহরণ বাঙ্গলার কীৰ্ত্তন। কিন্তু তঁরা যে আনন্দ অনুভব করেন, সে পুর্ণমাত্রায় সঙ্গীতগত আনন্দ নয়। জনসাধারণের মতে গান কাব্যেরই একটি অঙ্গ ; কারো মতে সেটি উচুদরের, কারও মতে নীচুদরের, এই যা তফাৎ।