পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুজ পত্ৰ ज्यांत्रिंब ७ कांर्डिक, १७३७ به همراه শাস্ত্ৰমতে সঙ্গীতকেও কাব্যের মত বীর, করুণ, শান্ত প্ৰভৃতি নানা রসের আধার বলে”। কল্পনা ও বর্ণনা করা হয়েছে । আর বঁীণে ভৈরবীর আলাপ শুনলে যে চোখে জল আসে, এ বিষয়ে আমি নিজে সাক্ষী দিতে পারি। অতএব ভৈরবীকে করুণরসাত্মক বলায় আমার আপত্তি নেই।-যদি আমরা মনে রাখি। যে ভৈরবী শুনলে আমাদের মনে পুত্ৰশোক উপস্থিত হয় না, যা হয় তা বিশুদ্ধ আনন্দ । আমাদের ব্যবহারিক জীবনের শোকদুঃখের সঙ্গে তার কোনই সম্পর্ক নেই। মানুষের ভাষা তার ব্যবহারিক জীবনের প্রয়োজন অনুসারেই গড়ে উঠেছে- এবং সেই ভাষাই মানুষের একমাত্র সম্বল । সুতরাং যে সকল “ভাবনা” ব্যবহারিক মনের বস্তু নয় - তার নামকরণ করতে হলে, আমরা তাদের গায়ে আমাদের জানা কথাগুলির ছাপ মেরে দিই। এ নামকরণ অবশ্য কতকটা সাদৃশ্যমূলক। তারপর সঙ্গীতরসে করুণ বীর প্রভৃতি মনোধৰ্ম্মের আরোপ যে উপমামাত্র, এ কথা আমরা বিলকুল ভুলে যাই । মানুষের ভাষা হচ্ছে প্ৰধানতঃ গোরস্থালির ভাষা-সে ভাষায় সঙ্গীত-রসের কোনও নাম নেই। অভিনবগুপ্ত বলেছেন যে, কাব্যরসের একমাত্র নাম হচ্ছে “কে’পি”- অর্থাৎ “কি জানি কি।” কাব্যরস সম্বন্ধে যাই হোক, সঙ্গীত-রসের “ক’পি” ছাড়া আর নাম নেই এবং হতে পারে না । ধৰ্ম্মের ন্যায় আর্টের ও মৰ্ম্ম, “নেতি নেতি” ছাড়া অপর কোনও উপায়ে প্রকাশ Y DD DSS BY DBBDB EuDu sBLLEL আমরা সাংসারিক লাভলোকসানের হিসেব থেকে কাব্য বলে, সঙ্গীত বলে, সবই যাচাই করে নিতে চাই। আটিষ্টিক-নাস্তিকতায় শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মন পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে, সুতরাং মার্গ সঙ্গীত