পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮২ | সবুজ পত্র • আশ্বিন ও কাৰ্ত্তিক, ১৩২৩ নচেৎ স্বীকার করতে হবে যে বেদান্তের “ভামতী টীকা” শঙ্কর ভায্যের অপেক্ষা ঢের শ্রেষ্ঠ । প্ৰকাশ করবার অক্ষমতার দরুণও অনেক সময়ে বিষয় কঠিন হয়ে ওঠে। কাব্যের সঙ্গে দর্শনের কিন্তু কোনই তুলনা কতে পারে না, কেননা এ দুই হচ্ছে মনোজগতের বিভিন্ন রাজ্যের বস্তু। দর্শন বিজ্ঞান এক পদার্থ, আর আর্ট হচ্ছে জুদা চীজ। সুতরাং কোন কোন কাব্যরসের রসিকের নিকট দর্শন যেমন অপ্রিয়, কোন কোন দৰ্শন-রাসের রসিকের নিকট’কাব্য তেমনি অপ্ৰিয় । লোকের প্রকৃতি বিভিন্ন, রুচি বিভিন্ন । ভগবান সব মানুষকে এক ছাঁচে গড়েন নি, তা বলে’ কি করা যাবে ? অবশ্য এক শ্রেণীর লোক আছেন যারা “খোদার উপর খোদকারি” করতে চান-তঁাদের সঙ্গে তর্ক করার মজুরি পোষায় না। মোদ কথা এই যে, অনধিকারীর নিকট সকল বস্তুই কঠিন। যা বিনা আয়াসে আদায় করা যায়, যদি তারই নাম সহজ হয়, তাহলে-আমি একবার নয়, একশবার বলুব-সঙ্গীত শিক্ষা সহজ নয়। কেননা অপর সকল আর্টের অপেক্ষা সঙ্গীতে technique-এর প্রাধান্য ঢের বেশী । যে উপাদান নিয়ে আর্টিষ্টকে কারবার করতে হয়, সেই উপাদানের সকল জড়তা, সকল অবাধ্যতা অতিক্রম করবার কৌশলেরই নাম technique ; যার প্রাণে সুর আছে, সেই সুরকে প্ৰকাশ করতে হলে কণ্ঠ ও যন্ত্রকে সম্পূর্ণরূপে নিজের বাধ্য করতে হয়। যেহেতু বাহা জগতের উপাদানগুলি সহজে বাগ মানেনা, সুতরাং সেগুলিকে স্ববশে আনতে হলে যত্ন চাই, পরিশ্রম চাই, অভ্যাস চাই-এক কথায় সাধন চাই। সুতরাং মানুষে musical feeling নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও, চচ্চার অভাবে বা দোষে তা নষ্ট