পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, ষষ্ঠ ও সপ্তম সংখ্যা · হিন্দু সঙ্গীত ○ケ○ করতে পারে। বর্তমানে বেশীরভাগ লোক সঙ্গীত-চৰ্চা করেন না, সুতরাং অনেকের অন্তনিহিত সঙ্গীত-বীজ চৰ্চার অভাব্যবশতঃ প্ৰতিকুল আবহাওয়ার মধ্যে মারা যায়। এই যত্ন পরিশ্রম কিন্তু আমাদের পক্ষে কষ্টকর জিনিস নয়-আনন্দের জিনিস। বাইরের বাধাকে অতিক্রম করা, তার উপর নিজের প্রভুত্ব স্থাপন করবার চেষ্টাতেই তা আমরা নিজের শক্তির পরিচয় পাই-এবং সেই সঙ্গে সুখ পাই। বাধা যত বেশী প্ৰবল, তাকে অতিক্রম করবার সুখও তত বেশী । সাধনার মধ্যে নিত্য নূতন আনন্দ পাওয়া যায় ; সে হচ্ছে নিত্য-নূতন শক্তি উদ্বোধনের ও সঞ্চায়ের আনন্দ। সুতরাং যথার্থ সাধন-পদ্ধতি কঠিনও নয়, কষ্টকরও নয় । যিনি যে বিষয়ের সাধনাকে কষ্টকর মনে করেন--তিনি সে বিষয়ে অনধিকারী ; সুতরাং র্তার পক্ষে সে সাধনা যে পরিমাণে কষ্টকর, সে পরিমাণে ত্যজ্য । “নায়ং আত্মা বলহীনেন লভ্যঃ” এ কথা আর্টি সম্বন্ধেও খাটে । দুর্বলের পক্ষে সাধনামাত্রেই শুধু কঠিন নয়- ভয়াবহ ; এবং আলস্য দুর্বলতা ছাড়া আর কিসের পরিচয় দেয় ? আমরা যে, কি সাহিত্যে কি সঙ্গীতে অনেক জিনিস হেসে উড়িয়ে দিই।--তার কারণ সে সব আমরা হেসে উড়িয়ে নিতে পারি। নে । আর একটি কথা,-আর্টিকে science হিসেবে। যদি শেখানো হয়, তাহলে সাধনপদ্ধতির দোষে সে শিক্ষা যে নিরানন্দ হয়ে পড়বে, DBB BBD DBB D D BDDD BDDB DB D BDBkS ক্ষেত্রে শুষ্ক হয়ে উঠেচে। যারা ওষুধ-গেলা-গোছ করে” গান শেখেন, তঁাদের গান শুনতে লোকের ওষুধ-গেলার ভোগই ভুগতে হয়। সুতরাং আমাদের দেশে সঙ্গীতের চর্চা যে কমে যাচ্ছে, তার জন্য