পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V78 . সবুজ পত্র यांत्रिंनी ७ कांत्रिंका, १७३७ গুরু। শিন্য উভয়েই দোষী। কোন ক্ষেত্রে কে বেশী দোষী তা, কে-গুরু ও কে-শিস্য তারই উপর নির্ভর করে । গুরু শিস্য উভয়েই যদি আর্টিষ্ট হন, তাহলে “গজদন্ত কনকে জড়িত” হয়, নচেৎ সঙ্গীতের শুধু গজদন্ত বেরিয়ে পড়ে। শ্রোতাদের আলস্য ও গায়কবাদকদের ব্যায়াম, এই দুয়ের প্ৰসাদে মাৰ্গসঙ্গীত সোনার পালঙ্কে ঘুমিয়ে না থাক-ঝিমিয়ে পড়েছে। বিলাতি-সঙ্গীতের কাঠির স্পর্শে সে গা-ঝাড়া দিয়ে উঠবে কি না।--তা আমি বলতে পারি নে, কেননা সে কাঠি সোণার কি রূপোর-তা আমি জানিনে । এই মাত্র আমি জানি যে, দেশী মাগ সকল প্ৰকার গানবাজনা আমার কাণে • স্বদেশী বলেই ঠেকে -এবং সকল প্ৰকার ইউরোপীয় সঙ্গীত বিদেশী বলেই ঠেকে । এ প্রভেদের মূল আবিষ্কার করতে না পারলে, বিলাতি-সঙ্গীতের ধাক্কায় স্বদেশীসঙ্গীত জেগে উঠবে, কি মারা যাবে-বলা অসম্ভব। আশা করি, যার উভয় জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে সম্যক পরিচয় আছে, এমন কোনও সঙ্গীতজ্ঞ ব্যক্তি, এ সমস্যার মীমাংসা করে” দেবেন। তবে এ কথা নিশ্চয় যে, যে উপায়ে আমাদের নব-সাহিত্য গড়া হচ্ছে, সে উপায়ে নব্য-সঙ্গীত গড়বার যে নেই ; কেননা সঙ্গীত জিনিসটে তর্জমা করা চলে না-ওর ব্যাকরণ থাকলেও, অভিধান নেই। আমি পুর্বেই বলেছি-মার্গ-সঙ্গীত বিমাচ্ছে। কিন্তু তাই বলে’ ওস্তাদির আফিং ছাড়াবার উদ্দেশ্যে কেউ যে তাকে বিলাতি-সঙ্গীতের মদ ধরাতে প্ৰস্তুত, এর প্রমাণ ত অদ্যাবধি পাই নি। বিলাতী-সঙ্গীত যে উত্তেজক পদার্থ, সে সঙ্গীত যিনি কাণ দিয়ে পান করেছেন, তিনিই তা জানেন। সঙ্গীত বিষয়ে আমি গুণীও নই, জ্ঞানীও নই-সুতরাং