পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, ষষ্ঠ ও সপ্তম সংখ্যা রাগ ও মেল'ড VSV) আর নব্য-বঙ্গীয় চিত্রকলার যে কথা বিশ্বপতি চৌধুরী মহাশয় তুলিয়াছেন, তদুত্তরে আমি জিজ্ঞাসা করি-আমাদের দেশের অন্ধকার-যুগের রাত্রিশেষের সময়ে বিলাতি মাঠের মধ্যে বিলাতি গরু চরার বা প্রার্থনারত স্থূলকায় শ্বেতাঙ্গিণীর আকাশের দিকে চাহিয়া থাকার ছবি নকল করিয়া যদি চিত্রাঙ্কনের চর্চাটুকু কোনমতপ্রকারে বজায় না রাখা হইত, তবে কি আমাদের জাগবণের প্রভাত বেলায় এই নবীন চিত্ৰকলা জন্মগ্রহণ করিয়া তাহার খাঁটি রূপে (কচি সুতরাং অস্ফট হওয়া সত্বেও) প্রাচ্যের শ্রেষ্ঠ কলাবৎ জাপানী ও পাশ্চাত্যের অধুনাতন কলাগুরু ফরাসী জাতিদ্বয়কে যুগপৎ মুগ্ধ করিতে পারিত ? অতএব এ প্রসঙ্গে আমার শেষ কথা-মা ভৈঃ ! বিশ্বপতি চৌধুরী মহাশয় তঁহার গুণী বন্ধুগণ সহ উচ্চ-অঙ্গের হিন্দুস্থানী-সঙ্গীতে র্তাহাঁদের অনুরাগ, উৎসাহ, সাধনা ও চর্চা অক্ষুন্ন রাখিয়া আমাদের আনন্দবৰ্দ্ধন করিতে থাকুন, এই আমার অনুরোধ। কেহ হাল্কার দিকে প্রথমটা কুকিলে ক্ষুব্ধ কেন হইবেন ? লঘু পথ্যে ত ভয় নাই, ভয় অনশনে। কোনপ্রকারেই যদি চর্চা না থাকে, তবে রসবোধ কি লইয়া বঁচিবে ? এবং সে বোধ একেবারে লোপ পাইলে উৎকৃষ্টতর রসপান রুচিবার আশা ও ঘুচিবে। হইলই বা নানাস্থানে নানা অঙ্গের নানা ঢঙের সঙ্গীতের আদর ; অধিকারভেদে কেহ বা শীঘ্ৰ, কেহ বা বিলম্বে, সকলকেই অবশেষে চরমের নিকট পৌঁছিতে হইবে। যাহারা আজ ইলিয়া গিয়াছে, তাহারা অচিরে সাধিতে আসিবে-এই আমার ভবিষ্যদ্বানী । tR