পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8. সবুজ পত্ৰ कांविंन ७ कांटिँक, ७७३७ (৩) হামানির সার্থকতা। গোড়ায় যখন স্বীকার করিয়া ফেলিয়াছি যে কোন কোন বিলাতী। সঙ্গীত রচনা আমি মাসগুল হইয়া শুনি, তখন উপসংহারে পাঠক কৈফিয়ৎ চাহিতে পারেন যে, তাহাতে আমি কোন রস পাইয়া থাকি। অতএব সে বিষয়ে দুই একটি কথা বলিয়া শেষ করা যাক । মানুষকে আত্মা ও সংসার দুই লইয়াই কারবার করিতে হয়। মানব-আত্মা লৌকিক হিসাবে সংসারী, আধ্যাত্মিক হিসাবে পরমাত্মার অভিন্ন অংশ। নিজ প্ৰকৃতি অনুসারে আত্মা সরল ও গুহা বা গভীর। কিন্তু সংসার-ক্ষেত্রে, প্ৰকাশের বৈচিত্র্যের মধ্যে, উহাকে নানা সম্বন্ধের সাহায্যে নানা বিরোধের সমন্বয় করিয়া চলিতে হয়। একহার রাগরাগিনী, সেইজন্য, আধ্যাত্মিক ভাবের প্রকাশের উপায় বা মূৰ্ত্তিস্বরূপ। লৌকিক ভাবের ক্ষেত্রে তাহার ব্যবহার থাকিলেও তাদৃশ উপযোগিতা নাই। সংসারের বিচিত্র জটিল বেদন ও সৌন্দর্ঘ্যের উপযুক্ত চিত্রাঙ্কন হার্মািনর দ্বারাই সস্তব, এবং আমি উচ্চ অঙ্গের হার্মানির সঙ্গীতে তাহাই পাইয়া থাকি। হার্মানির নিয়মে জড়িত বিজড়িত সুরগুলিতে পরস্পরের সহিত বিরোধ ভঞ্জনার্থে প্ৰত্যেকটির নিজত্ব, অনেকটা খর্ব, মিলিত-সৌন্দৰ্য্য বিধানার্থে ব্যক্তিগত সৌন্দৰ্য্য অনেকটা পরিহার করিয়া চলিতে হয়, অথচ সকলের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়াও মধ্যে মধ্যে এ সুর ও সুর নিজমুৰ্ত্তি বিকাশের সুযোগ হইতে একেবারে বঞ্চিত হয় না। এইরূপ হার্মানির যৌথ সঙ্গীতের দ্বারা সুমহান সংসার স্রোতের ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তনশীল অনিত্যতার সৌন্দৰ্য্য