পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७म्न दी, अछैभ ग'था छ†°2भमू °ख्या R) কোনো বাধা রেখে যায় না। ঘরের একধারে মাদুর নেই, সেখানে পালিশ করা কাষ্ঠখণ্ড বকবক করাচে, সেই দিকের দেয়ালে একটি ছবি বুলিচে, এবং সেই ছবির সামনে সেই তক্তাটির উপর একটি ফুলদানীর উপরে ফুল সাজানে। ঐ যে ছবিটি আছে, ওটা আড়ম্বরের জন্যে নয়, ওটা দেখবার জন্যে। সেইজন্যে যাতে ওর গা ঘেঁসে কেউ না বসতে পারে, যাতে ওর সামনে যথেষ্ট পরিমাণে অব্যাহত অবকাশ থাকে, তারি ব্যবস্থা রয়েচে । সুন্দর জিনিসকে যে এরা কত শ্ৰদ্ধা করে, এর থেকেই তা বোঝা যায়। ফুল সাজানো ও তেমনি । অন্যত্র নানা ফুল ও পাতাকে ঠেসে একটা তোড়ার মধ্যে বেঁধে ফেলো-ঠিক যেমন করে বারুণীযোগের সময় তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রীদের এক গাড়িতে ভৰ্ত্তি করে দেওয়া হয়, তেমনি,-কিন্তু এখানে ফুলের প্রতি সে অত্যাচার হবার জো নেই- ওদের জন্যে থার্ড ক্লাসের গাড়ি নয়, ওদের জন্যে রিজার্ভ-করা সেলুন। ফুলের সঙ্গে ব্যবহারে এদের না আছে DS DDD Du DDDS DD BDBBBD DBBDSS ভোরের বেলা উঠে জানালার কাছে আসন পেতে যখন বসলুম, তখন বুঝলুম জাপানীরা কেবল যে শিল্পকলার ওস্তাদ, তা নয়,-মানুষের জীবনযাত্ৰাকে এরা একটি কলাবিদ্যার মত আয়ত্ত করেছে। এরা এটুকু জানে, যে জিনিসের মূল্য আছে, গৌরব আছে, তার জন্যে যথেষ্ট জায়গা ছেড়ে দেওয়া চাই । পুর্ণতার জন্যে রিক্ততা সব চেয়ে দরকারী । বস্তুবাহুল্য জীবনবিকাশের প্রধান বাধা । এই সমস্ত বাড়িটির মধ্যে কোথাও একটি কোণেও একটু অনাদর নেই, অনাবঙ্গকতা নেই। চোখকে মিছিমিছি কোন জিনিস আঘাত করাচে না, কানকে বাজে কোন শব্দ বিরক্ত করচে না,-মানুষের মন নিজেকে