পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৪০

as जबूल अंश @ांश, ७७३७ লাভ করেচে। আমাদের দেশে একদল লোক আছে, তারা মনে করে শুষ্কতাই বুঝি পৌরুষ। এবং কৰ্ত্তব্যের পথে চলাবার সদুপায় হচ্চে রসের উপবাস,-তারা জগতের আনন্দকে মুড়িয়ে ফেলাকেই জগতের ऎछ | न य८ ।। য়ুরোপে যখন গেছি, তখন তাদের কলকারখানা, তাদের কাজের ভিড়, তাদের ঐশ্বৰ্য এবং প্ৰতাপ খুব করে চোখে পড়েচে এবং মনকে অভিভূত করেচে। কিন্তু চৈতন্য যেমন বলেছিলেন, তেমনি বলি“এহু বাহা ।” কিন্তু জাপানে আধুনিকতার ছদ্মবেশ ভেদ করে যা চোখে পড়ে, সে হচ্চে মানুষের হৃদয়ের সৃষ্টি। সে অহঙ্কার নয়, আড়ম্বর নয়,- সে পুজা । প্ৰতাপ নিজেকে প্রচার করে ; এই জন্যে যতদূর পারে বস্তুর আয়তনকে বাড়িয়ে তুলে’ আর সমস্তকে তার কাছে নত করতে চায়। কিন্তু পূজা আপনার চেয়ে বড়কে প্রচার করে ; এই জন্যে তার আয়োজন সুন্দর এবং খাটি, কেবলমাত্র মস্ত এবং অনেকে নয়। জাপান আপনার ঘরে বাইরে সর্বত্র সুন্দরের কাছে আপনি অৰ্ঘ্য নিবেদন করে দিচে । এদেশে আসবামাত্র সকলের চেয়ে বড় বাণী যা কাণে এসে পৌঁছয়, সে হচ্চে “আমার ভাল লাগল, আমি ভাল বাসলুম।” এই কথাটি দেশসুদ্ধ সকলের মনে উদয় হওয়া সহজ নয়, এবং সকলের বাণীতে প্ৰকাশ হওয়া আরো শক্ত। এখানে কিন্তু প্ৰকাশ হয়েচে । প্ৰত্যেক ছোট জিনিসে, ছোট ব্যবহারে, সেই আনন্দের পরিচয় পাই। সেই আনন্দ ভোগের আনন্দ নয়,-পুজার আনন্দ । সুন্দরের প্রতি এমন আন্তরিক সন্ত্রম অন্য কোথাও দেখি নি। এমন সাবধানে যত্নে, এমন শুচিত রক্ষা করে সৌন্দর্ঘ্যের সঙ্গে ব্যবহার করতে, অন্য কোনো জাতি শেখে।