পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা Ufaf 9 ORA নি। যা এদের ভাল লাগে, তার সামনে এরা শব্দ কয়ে না । সংযমই যে প্রচুরতার পরিচয়, এবং স্তব্ধতাই যে গভীরতাকে প্ৰকাশ করে, এরা সেটা অন্তরের ভিতর থেকে বুঝেচে। এবং এরা বলে সেই আন্তরিক বোধশক্তি এরা বৌদ্ধধৰ্ম্মের সাধনা থেকে পেয়েচে । এরা স্থির হয়ে শক্তিকে নিরোধ করতে পেরেচে বলেই, সেই অক্ষুন্ন শক্তি এদের দৃষ্টিকে বিশুদ্ধ এবং বোধকে উজ্জ্বল করে তুলেচে। পূর্বেই বলেচি, প্ৰতাপের পরিচয়ে মন অভিভূত হুয়-কিন্তু এখানে যে পূজার পরিচয় দেখি, তাতে মন অভিভবের অপমান অনুভব করে না । মন আনন্দিত হয়, ঈৰ্ষান্বিত হয় না। কেননা, পুজা যে আপনার চেয়ে বড়কে প্ৰকাশ করে, সেই বড়র কাছে সকলেই আনন্দমনে নত হতে পারে, মনে কোথাও বাজে না । দিল্লিতে যেখানে প্ৰাচীন হিন্দু রাজার কীৰ্ত্তিকঁলার বুকের মাঝখানে কুতবামিনার অহঙ্কারের মুষলের মত খাড়া হয়ে আছে, সেখানে সেই ঔদ্ধত্য মানুষের মনকে পীড়া দেয়, কিম্বা কাশীতে যেখানে হিন্দুর পূজাকে অপমানিত করবার জন্যে আরঙজীব মসজিদ স্থাপন করেচে, সেখানে না দেখি শ্ৰীকে, না দেখি কল্যাণাকে। কিন্তু যখন তাজমহলের সামনে গিয়ে দাড়াই, তখন এ তর্ক মনে আসেন যে, এটা হিন্দুর কীৰ্ত্তি, না। মুসলমানের কীৰ্ত্তি। তখন এ'কে মানুষের কীত্তি ঘলেই হৃদয়ের মধ্যে অনুভব করি। জাপানের যেটা শ্রেষ্ঠ প্ৰকাশ, সেটা অহঙ্কারের প্রকাশ নয়,--- আত্মনিবেদনের প্রকাশ ; সেই জন্যে এই প্ৰকাশ মানুষকে আহুৱান করে, আঘাত করে না। এই জন্যে জাপানে যেখানে এই ভাবের বিরোধ দেখি, সেখানে মনের মধ্যে বিশেষ পীড়া বোধ করি। চীনের