পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o q, watu MRINT जofga • NOY) স্কেপেয় ছবি দেখলুম (ল্যাণ্ড স্কেপের বাংলা প্ৰতিশব্দ নেই)। একটি ছবি,-পটের উচ্চপ্ৰান্তে একখানি পূৰ্ণচাঁদ, মাঝখানে একটি নৌকা, নীচের প্রান্তে দুটি দেওদার গাছের ডাল দেখা যাচে-আর কিছু না-জলের কোনো রেখা পৰ্য্যস্ত নেই। স্থির জল জ্যোৎস্নার আলোয় কেবলমাত্র একটি বিস্তীৰ্ণ শুভ্ৰাতা-ওটা যে জল, সে কেবলমাত্র নৌকাটি আছে বলেই বোৱা যাচ্চে ; আর এই সর্বব্যাপী বিপুল জ্যোৎস্নাটিকে ফলিয়ে তোলবার জন্যে যত কিছু কালিমা,- সে কেবল ঐ দুটি পাইন গাছের ডালে । ওস্তাদ এমন একটি জিনিসকে আঁকতে চেয়েচেন, যার রূপ নেই, যা বৃহৎ এবং নিস্তব্ধ - জ্যোৎস্নারাত্রি,- অতলস্পর্শ তার নিঃশব্দত । কিন্তু আমি যদি তেঁর সব ছবির বিস্তারিত বৰ্ণনা করতে যাই, তাহলে আমার কাগজ ও ফুরোবে, সময়েও কুলবে না। হারাসান সবশেষে নিয়ে গেলেন একটি লম্বা সন্ধীর্ণঘারে, সেখানে এক দিকের প্রায় সমস্ত দেয়াল জুড়ে একটি খাড়া পর্দা, দাড়িয়ে। এই পর্দায় শিমোমুরার আঁকা একটি প্ৰকাণ্ড ছবি। শীতের পরে প্রথম বসন্ত এসেছে-প্লাম গাছের ডালে একটিও পাতা নেই, শাদা শাদা ফুল ধরেচে-ফুলের পাপড়ি ঝরে ঝরে পড়াচে ;- স্বহৎ পর্দার এক প্রান্তে দিগন্তের কাছে রক্তবর্ণ সুৰ্য্য দেখা দিয়েছেপর্দার অপর প্রান্তে প্লাম গাছের রিক্ত ডালের আড়ালে দেখা যাচ্ছে একটি অন্ধ হাতজোড় করে সুৰ্য্যের বন্দনা করচে। একটি অন্ধ, একটি গাছ, একটি সূৰ্য্য, আর সোণায় ঢালা একটি সুবৃহৎ আকাশ; এমন ছবি আমি কখনো দেখি নি। উপনিষদের সেই প্রার্থনাবাণী যেন রূপ ধরে আমার কাছে দেখা দিলে,-তমসে মা জ্যোতিৰ্গময়। কেবল অন্ধ মানুষের নয়, অন্ধ প্ৰকৃতির এই প্রার্থনা-তিমসো না,