পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 v9Eu“, Þevo তঁর আত্মীয়েরা শুধু দেখতে পেলেন যে উকীল হবার কথা শুনলেই একটা অস্পষ্ট ভয়ে তিনি অভিভূত হয়ে পড়তেন। তাই তঁরা ধরে নিলেন যে এ হচ্ছে সেই জাতের ভয়, যা থাকার দরুণ কোন কোন মেয়ে হুড়কে হয় ; ‘ও একটা ব্যারামের মধ্যে, সুতরাং কি বািক বস্তুকে, কি বুঝিয়ে সুবিয়ে কোনমতে ও রোগ সারানো যাবে না। অতঃপর তাঁর হারমেনে শ্যামলালকে ছেড়ে দিলেন; তিনি ও অমনি মুন্সেফী চাকরি নিলেন । তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা যাই ভাবুন, শ্যামলাল কিন্তু নিজের পথ ঠিক চিনে নিয়েছিলেন। যার কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না, অনেক সময়ে দেখতে পাওয়া যায়, সেই অবাধ্য প্রবৃত্তি কিম্বা অপ্রবৃত্তিগুলোই মানুষের প্রধান সুহৃৎ । শ্যামলাল হাইকোর্টে ঢুকলে উপরে ওঠা দূরে থাক, একেবারে নীচে তলিয়ে যেতেন। তাঁর ঘাড়ে কেউ কোন কাজ চাপিয়ে দিলে এবং তা করবার বঁাধাবাধি পদ্ধতি দেখিয়ে দিলে, শ্যামলাল সে কাজ পুরোপুরি এবং আগাগোড়া নিখুৎ ভাবে করতে পারতেন। কিন্তু নিজের চেষ্টায় জীবনে নিজের পথ কেটে বেরিয়ে যাবার সাহস কি শক্তি তাঁর শরীরে লেশমাত্র ছিল না। পৃথিবীতে কেউ জন্মায় চরে খাবার জন্য, কেউ জন্মায় বাধা খাবার জন্য । শ্যামলাল শেষোক্ত শ্রেণীর জীব ছিলেন । পৃথিবীতে যতরকম চাকরি আছে, তার মধ্যে এই মুন্সেধনীই ছিল তাঁর পক্ষে সব চাইতে উপযুক্ত কাজ। এ কাজে ঢোকার অর্থ কৰ্ম্মজীবনে প্ৰবেশ করা নয়, ছাত্র জীবনেরই মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়া । অন্ততঃ শ্যামলালের বিশ্বাস তাই ছিল, এবং সেই সাহসেই তিনি ঐ কাজে ভৰ্ত্তি হন। এতে চাই শুধু আইন পড়া আর রায় লেখা ৷