পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুজ পত্ৰ ट्3श्**, ७७३७ عام 8 কথা দিয়ে এলেন । স্থির হ’ল ক্ষেত্রপতি তার বিগত স্ত্রীর আদ্যশ্রাদ্ধ করেই, আগত স্ত্রীকে ঘরে আনবেন। ক্ষেত্রপতির এ বিবাহ করবার আগ্রহের একমাত্র কারণ, শ্ৰীমতী সুন্দরী এবং কিশোরী। সুন্দরী স্ত্রীলোককে হস্তগত করলার লোভ ক্ষেত্রপতি জীবনে কখন সম্বরণ করতে পারেননি। এবং এ ক্ষেত্রে লিন্দাহ ছাড়া শ্ৰীমতীকে আত্মসাৎ করুবার উপায়ান্তর নেই জেনে, তিনি তাকে বিবাহ করতে প্ৰস্তুত হলেন। এ বিষয়ে তাঁর কোন দ্বিধা হ'ল না, কেননা তিনি লোকনিন্দাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করতেন । তিনি গ্রামের কাউকে ও ভয় করতেন না, সকলে তাঁকে ভয় করতে ; তার কারণ, তিনি পুলিশে চাকরি করতেন, তার উপর তাঁর দেহে বল, মনে সাহস ও ঘরে টাকা ছিল। ঐ তিন বিষয়ে গ্রামের কেউ তাঁর সমকক্ষ ছিল না। শ্যামলালের খুড়ে তাঁকে এসে যখন জানালেন যে, তিনি ক্ষেত্রপতিকে পাকা কথা দিয়ে এবং বিয়ের দিনস্থির করে এসেছেন, তখন শ্যামলাল বললেন, “আপনি যাই বলুন আর না বলুন, আমি এ বিবাহ কিছুতেই হতে দেব না, -প্ৰাণ গেলেও নয়” । এ কথা শুনে খুড়া মহাশয় “ভদ্রলোককে কথা দিয়ে সে কথার আর কিছুতেই অন্যথা করা যেতে পারে না”, এই বলে চীৎকার করতে লাগলেন । বাড়ীতে হুলস্থূল পড়ে গেল। কিন্তু শ্যামলাল যে সেই “না” ; বলে চুপ করলেন, তারপর আর কোন কথা কইলেন না। তার কারণ, হাজার চীৎকার করলেও তঁর খুড়োর কোন কথা শ্যামলালের কাণে ঢুকিছিল না ; তাঁর শরীর মন ইন্দ্ৰিয় সব একেবারে অবশ অসাড় হয়ে গিয়েছিল,-মাথায় বজাঘাত হলে মানুষের যেমন 酸烈目