পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

84t সবুজ পত্ৰ VNU, dere লীলা । বিপদের বিভীষিকায় আমরা ক্ষিপ্ত ব্যান্ত্রের মতন উদ্দীপ্ত হইয়া উঠি, আর আমাদের ভ্ৰকুটির যাদুমন্ত্রে কুয়াস কাটিয়া যায় ! শূকরছানার মত কচুর শিকড়ও আমরা চিবাইয়া চুষিয়া খাই !— কঁচা পাকার দিকে লক্ষ্যও রাখি না। ডরাই না কিছুতেই। উটের মত অনায়াসে মরুভূমিও পার হই। শোনো বাছা । আর একটা জরুরী খবর তোমাকে জানাইয়া রাখি । কড়া কথাও ছন্দে ও সুরে গাহিতে পারিলে লোকে না শুনিয়া থাকিতে পারে না । অতএব ছন্দ ও সুর-এই দুইটা জিনিসেরই টাক-টাকা তোলা । বাপু হে। বাজারদরের খবর রাখা, দোহনের আগে গরুর বঁটি পরীক্ষা করিয়া দেখা, ও অজানাকুে কলিজায় ধরিবার আগে তাহার জাতজ্ঞাতের পরিচয় লওয়া কৃপণের হিসাব। বে-হিসাবীর হিসাব তাহার অপেক্ষা অনেক বেশী সূক্ষম ; এত সূক্ষম যে, তাহা চৰ্ম্মচক্ষে কেহ দেখিতেই পায় না । হরদম চাওয়া এবং তাহার জন্য গো ধরিয়া থাকা, ও পাওয়ামাত্রই ঢাকা ঢাকা করিয়া সবখানি একেবারে গিলিয়া ফেলা - সেরকম ফকিরিও আছে। তাহারা ফকির হইলেও, না চাহিয়া খুন্সী হইবার ও না পাইয়াও আনন্দে মাতিয়া উঠিবার ফিকির তো শেখে নাই! গতিকেই, আমাদের, সমকক্ষ হইতে তাহাদের এখনও বহুৎ দেৱী । এই দেৱীটুকু ঘুঢ়ানোই আমাদের কাজ, জানিও। ওরে পাইবে। হতাশ হইও না।—কারণ, বিশ্বে দয়ার অনন্ত তরঙ্গের মত সত্য তো আর কিছু নাই। নহিলে কে বঁচিত বল G