পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sve সবুজ পত্ৰ পৌষ, ১৩২৩ খলের, কাণের দিক থেকেই হোক আর মানের দিক থেকেই হোক, একটা যে প্ৰকাণ্ড প্ৰভেদ আছে,-এ হচ্ছে একটি “প্ৰকাণ্ড সত্য”। এ প্ৰভেদ উপাদানের নয়-গড়নের। অতএব রাগ ও মেলডির ভিতর পার্থক্য হচ্ছে ব্যাকরণের, এবং একমাত্র ব্যাকরণেরই। সুতরাং আমরা যদি বিলাতি ব্যাকরণ অনুসারে সুর সংযোগ করি, তাহলে তা রাগ না হয়ে মেলডি হবে, এবং তাতে অবশ্য রাগের কোনও ক্ষতিবৃদ্ধি হবে না । আমরা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুসারে ইংরাজি ভাষা লিখলে সে লেখা ইংরাজিই হয়, এবং তাতে বাংলা-সাহিত্যের কোনও ক্ষতিবৃদ্ধি হয় না-যদিচ এ ক্ষেত্রে শুধু ব্যাকরণ নয়, শব্দও বিদেশী । DD BBDD BDD gDDBB BBB S DBDDD DBDBD DBBDB DBDS এবং সেই সঙ্গে বাংলা শব্দের অনুবাদের গোজামিলন দিলে, তা Babu English হয়, এবং উক্ত পদ্ধতি অনুসারে বাংলা লিখলে তা সাধুভাষা হয়-তেমনি ঐ দুই ব্যাকরণ মেলাতে বসলে সঙ্গীতেও আমরা রাগ মেলডির একটি খিচুড়ি পাকাব্য। সাহিত্যের খিচুড়িভোগে যখন আমার রুচি নেই, তখন সঙ্গীতের ও-ভোগ যে আমি ভোগ করতে চাইনে, সে कथों दवाई वांछला । ( ( ) দেশী বিলাতি সঙ্গীতের মধ্যে আর একটা স্পষ্ট প্রভেদ আছে। বিলাতি সঙ্গীতে Harmony আছে-আমাদের নেই।

  • এই হারমণি জিনিসটে স্বরের যুক্তাক্ষর বই আর কিছুই নয়-- অর্থাৎ, ও বস্তু হচ্ছে সঙ্গীতের বর্ণপরিচয়ের দ্বিতীয় ভাগের অধিকারে । আমাদের সঙ্গীত এখনও প্ৰথম ভাগের দখলেই আছে। আমাদের পক্ষে