পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tae সবুজ পত্ৰ Colo, sote BBDB DDD DDB BDB DiDD BB DBDBD DiuiDB BB BDD S DDS ছাড়া সুর ও কথার মধ্যে সঙ্গীতক্ষেত্রে সুরেরই প্রাধান্য মানতে হবে ; কারণ কথা বাদ দিয়েও সঙ্গীত হয়,- যথা যন্ত্রসঙ্গীত কিম্ব রাগালাপ, পাখীর ডাক কিম্বা শিশুর কাকলি । কিন্তু সুর বাদ দিলে কথা সঙ্গীতের এলাকা ছাড়িয়ে কবিতার রাজ্যে গিয়ে পড়ে। অবশ্য মিষ্টি কথারও একটা সাঙ্গীতিক ধ্বনি আছে, যার মানে না বুঝলেও ভাল লগতে পারে,-যেমন কোন কোন অজানা ভাষার আওয়াজও শ্রীতি মধুর বোধ হয়। সংস্কৃত শ্লোক বা মন্ত্রের মাহাত্ম্য তার সুগভীর ধ্বনির উপর কতটা নির্ভর করে, তা’ সর্বলোকবিদিত ৭ সে হিসেবেও বলতে পারি হিন্দী-ভাষার মূল্য কম নয়। জানিনে অভ্যাসবশতঃ কি না, কিন্তু হিন্দী গান সম্পূর্ণ না বুঝলেও তা আমাদের কাণে যত মিষ্টি লাগে, বাঙ্গলায় ভাঙ্গলে সেই গানেরই আর তত লজ্জৎ থাকে না । একটা দৃষ্টান্ত দিলেই বুঝতে পারবে -

  • অব ভজ ভোর প্রাত হরি নাম, বন্দে সকল দুখ মিট যাত যাত। আওর সকল শরীর হোত কল্যাণ ।”

জানিনে তোমাদের কি মনে হয়, কিন্তু “অব ভজ ভোর প্রাত হরিনাম” শুনলে আমার মনশ্চক্ষে ফুটে ওঠে গঙ্গার ধারের,-বিশেষতঃ কাশীর গঙ্গাধারের, ছবি ; যেন নদীর তীরে বসে কোন সৌম্যমূৰ্ত্তি সাধু একতারা বাজিয়ে গান করছেন, এবং ভোরের বিরুঝিরে হাওয়া এসে তার ও আমাদের শরীরমন পবিত্র করে দিচ্ছে। আমাদের একজন কৰি যে শরৎ-প্ৰভাতকে ‘নিরাময় নিৰ্ম্মল’ বিশেষণে ভূষিত করেছেন,