পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to 8 সবুজ পত্ৰ পৌষ, ১৩২৩ সূত্রসার গ্রন্থের সঙ্গে আমার যেটুকু পরিচয় আছে, তাতে বিশ্বাস হয়েছে যে তঁর মত সমদৰ্শী, প্ৰাজ্ঞ, ও প্ৰাঞ্জল লেখক যে-কোন দেশেই দুর্লভ। তিনি কোন-একটী বিষয়ের আশপাশ সবদিক দেখে ও দেখিয়ে, বিবেচনা ও যুক্তিপূর্বক যে সিদ্ধান্তে উপনীত হন, তাতে আনাড়ীর মনও স্বভাবতঃ সায় দেয় ; কারণ যে-বিষয় কিছু জানি তার সম্বন্ধে কোন লোক যদি যুক্তিসঙ্গত কথা বলছে দেখতে পাই, তাহলে যে-বিষয় জানিনে সে সম্বন্ধেও তার বুদ্ধিবিবেচনার প্রতি আস্থা হয়। সুতরাং যিনি সংক্ষেপে হিন্দুসঙ্গীত সম্বন্ধে বিশদ জ্ঞান লাভ করতে চান, তাকে কৃষ্ণধন বাবুর গীতসূত্রসার দুই খণ্ডের আলোচনা করতে বলি । প্ৰথম খণ্ডে সঙ্গীত-শাস্ত্র এবং দ্বিতীয় খণ্ডে সঙ্গীত-কৰ্ত্তব সম্বন্ধে যা লিপিবদ্ধ আছে, তাই জানাই সৌখীন সঙ্গীত-চৰ্চার পক্ষে যথেষ্ট। তিনি বলেন, প্রাচীন পুথি থেকে আধুনিক হিন্দুসঙ্গীতশিক্ষার উপদেশ কমই পাওয়া যায়। অতএব তা নিয়ে বেশী নাড়াচাড়া অনাবশ্যক। সে কথা সত্য, কারণ লক্ষী যেমন বাণিজ্যে বাস করেন, সঙ্গীত-সরস্বতী তেমনি সুগায়কের শ্ৰীকণ্ঠে বাস করেন,- পুথির পত্রে নয়। তবে ধৰ্ম্মপুরাণের অনেক কথা যেমন আমরা একালে সম্পূর্ণ বিশ্বাস না করলেও শুনতে ভালবাসি, তেমনি সঙ্গীতপুরাণের কতকগুলি কথা বর্তমান সঙ্গীতশিক্ষার কাজে না লাগলেও শুনতে ভাল লাগে। যথা :-রাগরাগিণীর দেবমূৰ্ত্তির কল্পনা। তাদের ভক্তর যথারীতি স্মরণ করলে তঁরা গায়কের রাগালাপে নিজমুৰ্ত্তি ধারণ করেন। এই ধ্যানমূৰ্ত্তি এতই পরিস্ফুট যে সংস্কৃত শ্লোকে তার পরিষ্কার বর্ণনা আছে, ও সেই অনুসারে ছবি পৰ্যন্ত আঁকা