পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, নবম সংখ্যা नौड-फ़िब्र () করা হয়ে থাকে। ৬/দ্বিজেন্দ্ৰলাল রায় তঁর হাসির গানে যে ইংরিজী কায়দা মিশিয়েছেন, তা বিষয়ের উপযোগী ও ভাবের সহায় বলেই আমার বিশ্বাস। স্বদেশী গানে যে ধুয়া, বা গানের প্রত্যেক কলির শেষভাগ হাল্কা সুরে একসঙ্গে গাওয়ার ইংরাজীরীতি প্ৰচলিত হয়েছে, তার সূত্রপাত আগে হলেও দ্বিজেন্দ্রলালই তার বহুলপ্রচার করেছেন । তার স্বদেশী গান অনেকে একত্রে গাইতে পারবে বলে’ বোধহয় তিনি ইচ্ছা করেই তাতে সাদা ইংরেজী ঢঙের সুর বসিয়েছেন, কিন্তু শুনতে পাই যে তা’ সত্ত্বেও আমাদের দেশী রাগিণী ঠিক বজায় আছে। এবং তিনি যে দেশী রাগতাল বিলক্ষণ বুঝতেন ও নিজে বিশুদ্ধ ভাবে গাইতে পারতেন, তা” র্তার ও তাঁর গানের ভক্তমাত্রেই জানেন। পূজনীয় রবীন্দ্রনাথ ও আমাদের গানে নানা নূতনত্বের প্রবর্তন করেছেন। তাঁর গানে ইংরাজী সুরের ছায়াও পাওয়া যায়, মিশ্র সুরেরও তিনি কিছু পক্ষপাতী । তার জন্যে লোকে নিন্দাই করুক আর প্রশংসাই করুক, তার অনেক গান আমাদের সঙ্গীতের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে, ও এত প্ৰচলিত হয়ে পড়েছে যে পরিচয়পত্র অনাবশ্যক। বিশেষতঃ আজকাল স্বরলিপি হওয়াতে গানকে বেঁধে রাখবার উপায় পাওয়া গেছে। এখন আর ফাকি দিয়ে গানের পাখী উড়ে যাবার জো নেই। তার ডানা কেটে তাকে মেপেজুখে খাচায় পোরবার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তাতে একটু শ্ৰীভ্রষ্ট হলেও, সম্পূর্ণ বিনষ্ট হওয়ার চেয়ে ভাল। স্বরলিপির নানা পদ্ধতির মধ্যে ৬/শৌরীন্দ্ৰ মোহন ঠাকুর ও পুজনীয় জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্ভাবিত প্ৰণালীদ্বয়ই বেশী প্রচলিত। আজকাল অনেকে মিলে একত্রে সঙ্গীতচৰ্চা করবার দিকে যে