পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি ইদানিং মনস্থির করেছিলুম যে সাহিত্যের ভাষা নিয়ে আর তর্ক করব না; কেননা যে তর্ক এগোয় না, তাতে যোগ দেওয়ার অর্থ ঘুরে-ফিরে সেই একই কথার একই জবাব দেওয়া । এক-কথা বলে একশ-কথা শোনায় আমার আপত্তি নেই-কিন্তু একশ-কথা বলে একশ-জনের কাছ থেকে উত্তরে একই কথা শোনাটা ঈষৎ কষ্টকর। সাধুভাষীদের ঐক্যতান শুনে শুনে অন্ততঃ আমার শ্রবণ-মন ক্লান্ত ও অবসন্ন হয়ে পড়ে। তর্কক্ষেত্রে বুদ্ধিবৃত্তিকে সজাগ রাখতে হলে, পূৰ্বপক্ষের কাছ থেকে নিত্যনূতন চিন্তার ধাক্কা পাওয়া আবশ্যক; কিন্তু পূর্বপক্ষ সে ধাক্কা প্ৰায়ই দেন না।. সমাজের কিম্বা জীবনের যে রীতি পূর্বাপর চলে আসছে, না ভেবেচিন্তে, একমাত্র অভ্যাসবশতঃ মনে ও ব্যবহারে যার সঙ্গে আমরা বনিবনাও করে আরামে জীবনযাত্ৰ নিৰ্বাহ করছি, কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বললে, আমরা না ভেবে-চিন্তে সেই বিরুদ্ধবাদের সমন্বরে প্রতিবাদ করি। পুরাতন যে কোনও প্ৰচ্ছন্ন অন্তনিহিত শক্তির বলে, নৈসৰ্গিক নিয়মে ক্রমপরিবৰ্ত্তিত হয়ে नृथ्टन BBBDBDDBSYSSiDB uuuuB DBDD DB BD DBBDBSDDD পাওয়া ভার। কালবশে পুরাতন শুধু সনাতন হয়ে ওঠে। প্রচলিত প্রথার LDB DBDBDB SDuDD S BDB0 S SKBDDL B BDD নূতন মত (25ts (Sr, তার বিরুদ্ধে র্যাদের কোনও মত নেই, তঁদের একমত হওয়া নিতান্তই স্বাভাবিক । সুতরাং একমাত্র পুনরুক্তির বলে এ সত্য একরকম সাব্যস্ত হয়ে গেছে যে ধারা বাঙ্গলা-ভাষার দৌলতে বাঙ্গলা-সাহিত্য গড়ে তুলতে চান- তাদের বুদ্ধি প্ৰলয়ঙ্করী। শুধু তাই নয়-যখন দেখতে পাই যে আমাদের মতের বিরুদ্ধে কোনও কোনও ব-কলম সাঁই-করা উচ্চভাষাও সাহিত্য-সমাজে উচ্চচিন্তা বলে সম্মান লাভ করেছে, তখন “মৌন অসন্মতির লক্ষণ” এই প্রাচীন বাক্য অনুসারে চুপ করে থাকাই শ্ৰেয় মনে করেছিলুম।