পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(VSQ সবুজ পত্র পৌষ, ১৩২৩ অবজ্ঞার জিনিস যে জনসাধারণকে তিনি মনেও অস্পৃশ্য করে রাখতে চান। তার বিশ্বাস শ্রেষ্ঠ কাব্য শুধু শিক্ষিত লোকের জন্যই রচিত হয়। এক হিসাবে কথাটা যে আমিও মানি তার পরিচর পূর্বেই দিয়েছি। তবে আমার ধারণা এই যে, আমরা যাদের শিক্ষিতসম্প্রদায় বলি, শিক্ষার দোষে তাদের বেশীর-ভাগ লোকই কাব্য-রাসের আস্বাদন করতে অসমর্থ। কবি শিক্ষিত কি অশিক্ষিত কোনও বিশেষ শ্রোতাকে চোখের সুমুখে রেখে নিজের মনের কথা বলেন না। তিনি কাব্যে অবশ্য আত্মপ্ৰকাশ করেন। কিন্তু কার কাছে ? মানব মনের কাছে। ভাষার উদ্দেশ্য হচ্ছে একের মনের বস্তু অপরকে দান করা। কবির ਵਿ perfect speech EggR Ç Èfè gè F3 tešę 5tfFS C T perfectly communicative, অর্থাৎ তা অবলীলাক্রমে অপরের মনে সম্পূর্ণ সংক্রমিত হয় —তার রূপ পরিচ্ছন্ন আর তার গতি অবাধ। যে উক্তির রূপ অস্পষ্ট, দেহ শব্দভারাক্রান্ত, গতি সবাধ, তার স্থান কধ্যে নেই-আছে পাণ্ডিত্যের রাজ্যে। প্রসাদগুণবঞ্চিত ভাষা-ভাষা নয়, স্তুপীকৃত শব্দ রাশি মাত্র। এবং এ কথাও বলা বাহুল্য যে যে-ভাষা বক্তা ও শ্ৰোতাসামান্য নয়, সে ভাষায় প্ৰসাদগুণের চরমোৎকৰ্ষ লাভের সম্ভাবনা নেই। আমার চিরদিনের মত এই যে, দুর্বোধের আদর শুধু নিৰ্বোধের কাছে এবং এ মত পরিবর্তন করবার অদ্যাবধি আমি কোনও কারণ দেখিনি। ( so ) কিন্তু পাছে ভাবের মহত্ব নষ্ট হয় এই ভয়েই গুপ্তমহাশয় আকুল। মৌখিক ভাষা তার মতে সাহিত্যে অগ্ৰাহ্য ; কেননা “গভীর প্রদেশস্থ ঘননীলাম্বুরা যে নিথর সত্ত্বপূর্ণ স্থানুত্ব” তার পরিচয় গুপ্তমহাশয় মাতৃভাষার ভিতর পান না। তিনি য়ে প্ৰসাদ গুণকে উপেক্ষা করেন তার প্রমাণ র্তার পূর্বোক্ত বাক্যের ভিতরই পাওয়া যায়। আমাদের আলঙ্কারিকেরা যাকে বলে ওজঃগুণ তিনি একমাত্র সেই গুণের অতিমাত্রায় ভক্ত। অর্থাৎ তিনি সৰ্ব-আলঙ্কারিক-নিন্দিত