পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G ( JR সবুজ পত্ৰ মাঘ, ১৩২৩ দাঁড়ায় সেটা আসামীর কাঠগড়া নয়-বিচার প্রার্থীর আসন ! তাকে সম্মান না দিতে পারি, কিন্তু অশ্রদ্ধা করবার অধিকার আমাদের নেই। আর, তাকে অবজ্ঞা করলে, নিতান্তই তার” পরে অবিচার করা হবে।-- এক্সি করে’ই এখন আমরা বিচারকের আসন কলঙ্কিত কচিছ ! ব্ৰত অনুষ্ঠান করতে হ’লে যেমন শাস্ত্ৰ-মতে সংযম পালন করে। ধৰ্ম্মবুদ্ধির উদ্বোধন করতে হয়, নতুনের ভালোমন্দ বিশ্লেষণের সময়েও তেন্ত্রি মনটাকে যথা সম্ভব সংস্কার-বৰ্জিত করে’ সত্যের জন্যে একাগ্র করে তুলতে হবে! তা’ হ’লেই সত্য আমাদের লাভ হবে ; “যা’ মিথ্যা তা’ আপনা হ’তেই দূরে সরে যাবে! চুম্বক লোহাকেই টানবে, ছাই পাশ সব যেখানকার সেইখানেই পড়ে থাকবে। " কিন্তু, মন যদি আমাদের গোড়া থেকেই ছাই পাশে ভরা থাকে, সেখানে যদি সত্যের জন্যে এতটুকুও ঔৎসুক্য, কণামাত্র ও জিজ্ঞাসা না জাগে-তা’ হ’লে আর আমাদের আশা কোথায় ? কাঠের ঘোড়া কখনও জল খাবে কি ? কাঠের ঘোড়ার পক্ষে জল-পান যতটা অসম্ভব, সত্যিকারের রক্ত-মাংসের ঘোড়ারও যদি গরজ না থাকে বা মরজি না হয়, তবে তাকে জল খাওয়ানো তার চেয়ে কোনো অংশেই কম অসম্ভব নয়। যে ঘুমিয়ে আছে তাকে ডেকে তোলা বরং সোজা, কিন্তু যে জেগে ঘুমোয় তাকে ওঠান বড়ই শক্ত। এখন আমরা যেগে ঘুমোচ্ছি। পুরাতনের অনুপযোগীতা আমরা অনেক ক্ষেত্রেই বুঝেছি; তার পরে বিতৃষ্ণ এবং বিরক্ত আমরা যথেষ্ট পরিমাণেই হয়েছি ; কিন্তু তবুও নতুনকে সর্বান্তিকরণে আবাহন, গ্ৰহণ এবং আলিঙ্গন করুরার সাহস ও উত্তেজনা আমরা পাচ্ছিনে। আর, আমাদের এই দৈন্য, এই হীনতা আমরা ঢাকছি। রক্ষণশীলতার আবরণ