পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, দশম সংখ্যা সজীব অতীত ANO কঠিন লাগে-সুতরাং ব্যাসদেব কিম্বা পরাশরের কৈশোর কিম্বা যৌবন কল্পনা আয়াসসাধ্য তা হবেই। কিন্তু মানুষের বুড়ে বয়েসটাকেই মনে করে রাখতে হবে-আর তার শৈশব যৌবন ইত্যাদি মনে রাখতে হবে না। এই বা কি কথা ? মর লোকদের কেবল মারাটাই কি বড় আর তাদের জীবনের আর সব ব্যাপারই তুচ্ছ ? নিশ্চয়ই নয়। যাদের ভালবাসি তাদের সব কথা জানতে ইচ্ছে হয়। যখন আমরা তাদের জানতুম না, তখন তারা কেমন ছিল—তাদের তখনকার প্রত্যেক ছোট ছোট কথা প্ৰত্যেক ছোট ছোট কাজ প্ৰত্যেক সুখ প্ৰত্যেক দুঃখের খবর নিতে ইচ্ছে করে। আমাদের প্রিয়জনকে খালি প্রিয় বলে জেনে তৃপ্তি হয় না-সে যে জীবিত এটা কি ভুলতে পারি ? তারপর যখন আমরা প্ৰিয়জনকে মৃত্যুর মধ্যে হারাই—তখন কি সুধু তার নাম করে আমরা সুখী হই-তাদের প্রত্যেক কথাটি প্রত্যেক কাজটি আমরা একটি একটি করে মনে আনি । “মরা লোক সম্বন্ধে শুধু ভালই বল”। এ কথা যে বলেছিল। সে কখনও মরা লোককে সত্যি সত্যি ভালবাসেনি। ভালমন্দ জানিনে, আমার প্রিয়জনের কোন খুঁটিনাটিই আমি ফেলতে পারব না । তাইতেই ত বলি, আমাদের অতীতকে যারা একটা আচল স্থির সৌন্দৰ্য্য বা শিবত্ব বলে কল্পনা করেন তঁরা অতীতকে একেবারে মৃত রূপে দেখেন। জীবনের স্মৃত্তিতে অতীত যে দিন সজীব ছিল— পাপ-পুণ্য-স্যায় অন্যায়-দোষ গুণ-এ সব দিয়ে সে দিনও আমাদের দেশ এখনকার মতই গড় ছিল—এ কথা ধারা ভোলেন “তারা অতীতকে ভক্তি করতে পারেন। কিন্তু ভালবাসেন না । “সে দেশ