পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tv9 সবুজ পত্ৰ बाँच, »७२७ কাজের পক্ষে ওটাতে সুবিধা হতে পারে। কিন্তু কাজ যে ইচ্ছার চেয়ে বড় এ কথায় সায় দেওয়া কঠিন। আমাদের বোঝা উচিত যে সময়ের প্রতি এই অভূতপূর্ব শ্রদ্ধা কৰ্ম্মক্ষেত্রে যতই ফলদায়ক হোক না কেন, সাহিত্য-ক্ষেত্রে তা একেবারেই অচল । কি এক কুক্ষণে মাসিকপত্রের আবির্ভাব হ'ল সম্পাদক বল্লেন যদি বছরে সাড়ে তিন টাকা ক’রে আমাকে দাও। তবে প্ৰতি মাসের ২রা তারিখে আমি সাহিত্য-রস যোগাবার ভার নেব । সেই থেকে সে তারিখে যদি পাঠকদের উক্ত রস যোগান না হয় তবে তঁরা রাগ করেনু। সাহিত্য-বৃক্ষের রস নাববার, সময় হলে তা আপনিই বার হবে এই নিয়মই হচ্ছে স্বাভাবিক। মাসিকপত্রের বাধা ভাঁড়ের উদর পূর্ণ করবার জন্যে তারিখে তারিখে তাকে যে রস বার কৰ্ত্তে হবে এ অপমান যেন সে কোন দিন না। স্বীকার করে। তারপর গরজ কার, যে রসভিক্ষু তার না, যে রস যোগাবে তার ? যদি স্বয়ং সম্রাটও হুকুম দেন যে এই শীতের সকালে অশোকমঞ্জরী ফুটে উঠুক-তবে সে কি ফুটবে? বসন্তের হাওয়া চাই, ভ্রমরের গুঞ্জন চাই, সুন্দরীর চরণ-স্পর্শ চাই তবে না। সে দেখা দেবে। সবুজ পত্রের আর কোন গুণ থাক আর না থাক একটি এই মহাগুণ আছে যে তা ধাৰ্য্য তারিখে বার হয় না । তাই বলছি আমরা যারা কাজের হুকুম মানিনে, এস। দল বেঁধে আজ মহাসমারোহে আলস্যকে রাজসিংহাসনে বসাই-বৃদ্ধ সময়ের সেখানে নিমন্ত্রণ হবে না। জয় আলস্য -উদার অগাধ আলস্য তোমারি জয়—আমাদের চিত্তে তোমার আসন অটল হােক। যারা সকালে ঠিক ছয়টায়ে উঠে, দশটায়ে খেয়ে এবং নটায় শুয়ে ভাবে জীবনটা বেশ