পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপান-যাত্রীর পত্র। ( x ) বম্বাই থেকে যতবার যাত্ৰা করেচি জাহাজ চলতে দেরি করে নি। কলকাতার জাহাজে যাত্রার আগের রাত্রে গিয়ে বসে থাকতে হয়। এটা ভাল লাগে না । কেননা যাত্রা করার মানেই মনের মধ্যে চলার বেগ সঞ্চয় বারা । মন যখন চলাবার মুখে, তখন εζΦ ή Vyg করিয়ে রাখা তার এক শক্তির সঙ্গে আর এক শক্তির লড়াই বাধানো । মানুষ যখন ঘরের মধুে জমিয়ে বসে আছে, তখন বিদায়ের আয়োজনটা এই জন্যেই বষ্টিকর ; কেন না, থাকার সঙ্গে যাওয়ার সন্ধিস্থলটাই মােনর পক্ষে মুঞ্চিলের জায়গা,- সেখানে তাকে দুই উল্টো দিক সামলাতে হয়,-সে একরকমের কঠিন ব্যায়াম। বাড়ীর লোকেরা সকলেই জাহাজে চড়িয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরে গেল, বন্ধুরা ফুলের মালা গলায় পরিয়ে দিয়ে বিদায় নিলে, কিন্তু জাহাজ চলল না। অর্থাৎ যারা থাকবার তারাই গেল, আর যেটা চলাবার সেটাই স্থির হয়ে রইল,-বাড়ি গেল সরে, আর তরী রইল দাড়িয়ে । বিদায় মাত্রেরই একটা ব্যথা oto-co ব্যথাটার প্রধান কারণ এই, জীবনে যা কিছুকে সব চেয়ে নির্দিষ্ট করে' পাওয়া গেছে, Vt(R5 অনির্দিষ্টের আড়ালে সমৰ্পণ করে যাওয়া । তার বদলে হাতে হাতে আর একটা কিছুকে পাওয়া না গেলে এই শূন্যতা এই মনের মধ্যে বোকা হয়ে দাড়ায় । সেই পাওনাটা হচ্চে অনির্দিষ্টকে নির্দিষ্টের মধ্যে পেতে থাকা। সেই জন্যে যাত্রার মধ্যে যে দুঃখ আছে, চলাটাই