পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

E. R সবুজ পত্ৰ षांघ, s७२७ আমি বলি তা’ নয়, তোমার চেয়ে যে বড়, যার শক্তি তোমার চেয়ে বেশী, যার জন্যে একটী দেশ লালায়িত, তাকে অত পরীক্ষার আগুনে পোড় খাইয়ে দরকার কি ? তাতে ত ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছুই হবে না। আরেক কথা, কাউকে নষ্ট করবার অধিকার তোমার নাই। এই যে অগ্নি পরীক্ষা করতে চাও, তাতে কি সব সময়ে সুফল ফলে ? যে বীজটা অঙ্কুরিত হয়ে ওঠুবার জোগাড় হয়েছে, তোমার পরীক্ষার তাতে যে সেটা শুকিয়ে চিরদিনের মত লোকচক্ষুর অন্তরাল হয়ে যাবে, তাতে লাভটা কি ? তবে কখনো কখনো যে পরীক্ষায় সুফল ফলে থাকে, এ কথা অস্বীকার করবার জো নেই ; তাই বলে সব সময়ে যে ফলে না, এটা নিশ্চয়। তুমি হয় ত, বলবে প্রতিভাকে কখনাে গড়া যায়না ; নিত্য নব নব শক্তির বিকাশেই প্ৰতিভার পরিচয় ; সৃষ্টি প্রতিভার কাজ সুতরাং সমাজ প্ৰতিভাকে কি করে সৃষ্টি করবে ? তা মানি, গড়তে পারা যায় না, তাও খুব সত্য। কিন্তু প্ৰতিভাকে ংসের হাত থেকে ত বঁচানো যায়। তাই বা করা কই ? বরং উলেট তাকে ধ্বংস করবার চেষ্টায় থাক । আমরা যারা নিজেদের অভাবটাকে অন্তরে অন্তরে উপলব্ধি করছি, সেই আমরাই কি তার প্রতীকারের কোন চেষ্টা করছি, না করবার কোন পথ আবিষ্কারের উপায় দেখছি। ! কিছুই না, যেমনি চলাবার, তেমনি চলেছি, দেশ ছেড়ে স্বজন স্বজাতি ছেড়ে এক সুদূর বিদেশে নিত্যকার জীবিকা অৰ্জন করতে। নিজের জীবিকা কে না। অর্জন করে ? আমরা তারই একটা মস্ত বড়াই করে বুক ফুলিয়ে চলেছি, ঠিক বাদশার মত। সমুদ্রের ঢেউগুলা কলহাস্যতুলে যেন বিভ্রহ্মপ করে বলে যাচ্ছে