পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Veo eo दूर्ख মাঘ, YVORNO আমি গাছে গিয়ে বসতেই, সে খাওয়া বন্ধ করলে। আমি ভাবলুম বুঝি সে আমাকে চিনতে পেরেছে, কিন্তু তার সঙ্গে একটা কথা বলতে না বলতেই সে এক রাশ 'কু-কু-কু-কু’ শব্দ করে, নক্ষত্ৰবেগে কোথায় উড়ে গেল। আমি কি করি, ছেলেরা পাছে মনঃক্ষুন্ন হয়, তাই তার জায়গায় বসে তারই মতন করে ফলে মুখ দিতে যাচ্ছিএমন সময় কি একটা আমার কানের পাশ দিয়ে বেঁা করে বেরিয়ে গেল। চমকে উঠে নীচের দিকে চেয়ে দেখ, ছেলেরা ঢ়িল কুড়িচ্ছে আর বলাবলি করছে, “ভারি পাজী—কোকিলটাকে উড়িয়ে দিলে-- আচ্ছ। ওকে দেখে নিছিছ-দেখিস যেন ফলে না ঠোকর দেয়-ওর ঠোকরানো ফল খেতে নেই”। আর শোনবার কি দেখবার প্রবৃত্তি রইল না ; আমি যেদিক হয় একদিকে উড়ে গেলুম। কিন্তু ছেলেদের উপর তত রাগ হল না-যতি হিংসে হল ঐ কোকিলটার উপর। আমার মনের ভিতর থেকেও কে যেন বলে দিতে লাগলো। “ওকে হিংসে করাই তোর উচিত।” তারপর তার খোজ আর করলুম না, কিন্তু এটা বেশ দেখতে পেলুম যে, ভাল ফলের গাছে বসতে গেলেই লোকে আমাকে তাড়ায়-তারা আমার জন্যেই ক্ষেতের মধ্যে চুনমাখা হাঁড়ি, আর গাছের ডালে পাতিকাকের ডান টাঙিয়ে রাখে। তা দেখে আমার মনে আতঙ্ক হয়। ক্রমে এমন হলো যে, ভাল করে না দেখেশুনে, কি চারপাশে না ঘুরে এসে আমি কোন গাছেরই ডালে বসতে সাহস করতুম না। ভয় হল হয়ত চিরজীবন আমাকে ডানাতে ভর দিয়েই থাকতে হবে। কিন্তু শেষে জানতে পারলুম যে, কেবল দুটাে গাছ আছে, যার ফল খেলে কেউ अभिांकि किछू बाल ना ।”