পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VOOR সবুজ পত্ৰ মাঘ, ১৩২৩ বৌদিদি মেয়ের দিকে চেয়ে বল্পেন-“কাক বড় দুষ্ট-না? ওকে মারবো”খন—তুমি কেঁদনা-আরে কাগ!” অপুর আলোড়িত মুখমণ্ডল আবার শাস্তভােব ধারণ করলে ; সে পুনর্বার আহারে মনঃসংযোগ করতেই, তিনি ঠাকুর-পোর দিকে ফিরে বল্পেন-“যা খেয়ে গিয়েছে। ঠাকুর-পো, তার তা আর চারা নেইএখন থেকে দেখো যেন পাতের দিকে না যায় ।” “তা দেখবো’খন” ; কিন্তু দেখেছ বৌদি, ওর নাকের উপর কেমন একটা ছেদা ?” “হা, ওটার কথাই ত বলতে যাচ্ছিলুম-তা ত শুনলে না।” ‘ना, दल।” ১) “আমি একদিন উড়তে উড়তে একটা মস্ত বাড়ীর রেলিং এর উপর গিয়ে বসি ; সেখানে দেখি কি যে, বারান্দার খাচায় সেই কোকিল। সে তখন খাচ্ছিল পাকা কলা আর তেলাকুচোঁ। যথার্থ বলতে কি, আমার লোভ হল-ও সব ত আমি খেতে পাই না। শুধু বেল পাকলে কেন, অনেক ফল পাকলেই আমার স্বাৰ্থ নেই। আমি ভাবতে লাগলুম, আমাকে কেন লোকে খাচায় ধরে রাখে না ? আমি কি ওর চেয়ে দেখতে মন্দ ? অবশ্যই নই, যদি স্বাস্থ্য ও বল দুয়ে মিলে সৌন্দৰ্য্য হয়। তবে সুর ?-ত কি সকলের গলায় থাকে ? হীরেমন চন্দনা কাকাতুয়ার আছে ?-তবে একটা কথা এই, তারা ধরা দেয়, আমি ধরা দিই না । সেটা আমার বোকামি। এই যেমন মনে হওয়া, অমনি আমি আর নড়লুম না-ছেলেরা এসে আমাকে ধরলে,কিন্তু যদিও পাশে একখানা'খালি-খাঁচা ছিল, তবু আমাকে তার মধ্যে পুরলে না-কেবল