পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७म बद, प्रथम ज९थji ਵਿ- V e হইলেই তাহাকে একটী অৰ্দ্ধশিক্ষিত ব্যক্তির হস্তে সমর্পণ করিয়া আমরা তাহার• শিক্ষার সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত হইয়া বসিয়া থাকি। এই শ্রেণীর শিক্ষক যে শিশুদিগকে শিক্ষা দানে কতদূর অনুপযুক্ত তাহা একবার ভাবিয়াও দেখি না। তাহদের বিশ্বাস দ্বিতীয় ভাগের বানান ও নামত মুখস্ত করানই শিক্ষার আদর্শ। ছোট ছোঠ ছেলেদের দেহমান যখন এইপ্ৰকার শিক্ষকের দ্বারা বিপৰ্য্যস্ত হইতে দেখি, তখন আমার কেবলই মনে হয় যে আমরা এখনও পৰ্য্যন্ত শিক্ষা জিনিসটা যে কি তাহা একেবারেই ধারনা করিতে পারি নাই। আমার একটি ডেপুটী বন্ধু তাহার পুত্ৰটীকে উত্তমরূপে লেখাপড়া শিখাইবার জন্য বিশেষ চেষ্টা করিয়াছিলেন, পাঁচ বৎসর বয়স হইতে তাহাকে নিজের হস্তে লইয়া অল্প বয়সে এনট্রান্স পাস করাইবার বিশেষ চেষ্টা করিয়াছিলেন। ওই বয়স হইতে তিনি সকালে দুই ঘণ্টা ও বিকালে, দুই ঘণ্টা করিয়া প্রত্যহ নিজে পড়াইতেন, ইহা ব্যতীত ঐ শিশুকে স্কুলে পাঁচ ঘণ্টা করিয়া কাটাইতে হইত। প্ৰথম দুই এক বৎসর ইহার ফল আপাতদৃষ্টিতে ভাল হইয়াছিল, কিন্তু সে যতই উপরের ক্লাসে উঠিতে লাগিল, ততই তাহার অবনতি ঘটিতে লাগিল । উপরের ক্লাসে যেখানে কিছু কিছু বুদ্ধি খরচ করিবার প্রয়োজন সেখানে সে একেবারেই হটিয়া গেল। মুখস্তদ্বারা যতদূর সম্ভব তাহা সে করিতে পারিত,কিন্তু সকল বিষয়ে মুখস্ত করিলে চলে না। যেখানে বুদ্ধি চালনার দরকার সেখানে সে অন্যান্য বালকদের অনেক পিছনে পড়িয়া থাকিত । এই বালকাটীর উপর আমি অনেক দিন পৰ্যন্ত দৃষ্টি রাখিয়াছিলাম এবং ভবিষ্যতে ঐ প্রকার শিক্ষার তাড়নায় যে কি ফল হয় তাহ দেখিবার বড় ইচ্ছা ছিল। কিন্তু দুৰ্ভাগ্যবশতঃ সতর আঠার বৎসর বয়সেই সে