পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের শিক্ষা । 2 2 aang み?る স্পর্শ করলে দেহের যে অঙ্গ একেবারে সাড়া দেয় না, সে অঙ্গ মৃত-আর যে অঙ্গ অতিরিক্ত সাড়া দেয়-সে অঙ্গ রুগ্ন। আমাদের ব্যবহারে মনে হয় যে, ব্যথা আমাদের সকল গায়ে ;- কেননা কেউ আমাদের গায়ে হাত দিলে, আমরা অসঙ্গত ভাবে চীৎকার করে উঠি—অসম্ভব রকম ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ি। শুধু তাই নয়, দেখতে পাই অনেকের ধারণা যে সহগুণটা মেয়েলি-ধৰ্ম্ম এবং চীৎকার করাতেই মানুষে পৌরুষের পরিচয় দেয়। আমাদের সব চাইতে বেশী ব্যথা লাগে, যদি কেউ আমাদের অহঙ্কারে আঘাত করে,-তার কারণ আমরা জাৎকে জাৎ, রাতারাতি বেজায় অহঙ্কারী হয়ে উঠেছি। আমাদের বিশ্বাস যে বৰ্ত্তমান যুগে আমরা ভারতবর্ষের সর্বাগ্রেগণ্য জাতি। এ দাবীর মূলে আছে আমাদের শিক্ষা । মাথা-গুগুতি হিসেবে বাঙ্গালী যে সব চাইতে উচ্চশিক্ষিত তার প্রমাণ বোধহয় সেনসাস-রিপোর্ট থেকেই পাওয়া যায়। তারপর এ যুগের নবশিক্ষা আমাদের জাতীয়-দেহে যে কতকটা নবজীবন এনে দিয়েছে, আমাদের মনে যে ইউরোপীয় সভ্যতার রং একটু বেশী করে ধরেছে-এ সত্যও প্ৰত্যক্ষ । সুতরাং আমাদের শিক্ষার কেউ নিন্দ করলে, অমনি আমাদের গাত্ৰজ্বালা উপস্থিত হয়। এবং প্রচলিত শিক্ষাপদ্ধতির কেউ বদল করতে চাইলে আমরা মনে মনে প্ৰমাদ গণি ।