পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ , ७थं ९९] আমাদের শিক্ষা QSS কেননা তা মূলত বিদেশী। এ সন্দেহ অবশ্য একেবারে অকারণ। যে শিক্ষার বলে নব-ইউরোপের বুদ্ধি ও চরিত্র গড়ে উঠেছে তা আদিতে সম্পূর্ণ বিদেশী ছিল। গ্ৰীক ল্যাটিন সাহিত্যের ও খৃষ্ট ধৰ্ম্মের অজ্ঞতায়ইউরোপীয় সভ্যতা যে কি রূপ ধারণ করত তা আমরা কল্পনাও করতে পারি। নে ;—সম্ভবতঃ ইউরোপীয়েরাও পারেন না। পরস্পরের জ্ঞানের ভাবনার আদান প্ৰদান থেকেই বিশ্ব-মানবের মনের সাম্রাজ্য যুগপৎ স্থিতি ও বিস্তৃতি লাভ করছে। মনোজগতে যে জাতি একঘরে সে জাতি পতিত । আমাদের জীবনের সঙ্গে আমাদের নবশিক্ষা যে আজও সম্পূর্ণ খাপ খায় নি—তার কারণ তা অতি নূতন। এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা ত সে দিন হয়েছে। আমাদের এ সল্পায়ুঃ জাতের মধ্যে এমন লোক বোধ হয় আজও আছেন-যারা কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতকৰ্ম্মের সময় উপস্থিত ছিলেন। 'সুতরাং আমরা যে এই নবশিক্ষাকে একেবারে আপনার করে নিতে পারি নি তাতে আশ্চৰ্য্য হবার কিছু GrèR I Oxford, Cambridge, Paris, Bologne SigfS firবিদ্যালয়ের বয়েস প্ৰায় হাজার বৎসরের কাছাকাছি-আর কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সবে যাট পেরিয়েছে। সুতরাং ইউরোপে শিক্ষা নিয়ে আজও যদি experiment চলে—তবে আমাদেরও যে তা চলবে তাতে আর আটক কি ? সত্য কথা এই যে আমাদের এই শিক্ষা প্রথমতঃ, বিদেশী দ্বিতীয়তঃ নূতন সুতরাং এর মতিগতি ফেরাবার এর রীতিনীতি পরিবৰ্ত্তনের যথেষ্ট অবসর আছে। আশা করি এ ধারণা কেউ মনে পোষণ করেন না যে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় একপুরুষে এত বনেদি বড়মানুষ হয়ে উঠেছে-যে তার হালচাল আর বদলানো যাবে না।